হবিগঞ্জ প্রতিনিধি : হাইকোর্টের নির্দেশ উপেক্ষা করে নবীগঞ্জ উপজেলার দিনারপুর এলাকার বিভিন্ন স্থানে টিলা কেটে প্রাকৃতিক সৌর্ন্দয্য নষ্ট করছে একটি প্রভাবশালী চক্র।

গত ৭/৮ দিন ধরে ওই এলাকার কান্তুুর টিলা সংলগ্ন একটি টিলা থেকে অবাধে মাটি কেটে বিক্রি করা হচ্ছে। ওই চক্রটির ভয়ে এলাকার সাধারণ মানুষ প্রকাশ্যে প্রতিবাদ জানাতে সাহস পাচ্ছে না। শনিবার সকালে গোপলার বাজার পুলিশ ফঁিড়র একদল পুলিশের ওই এলাকায় অভিযান চালায়। অভিযানের পর সকালে মাটি কাটা বন্ধ থাকলেও বিকেলেই ফের শুরু হয় মাটি কাটা।

স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, ওই গ্রামের একটি প্রভাবশালী মহল ওই টিলা কাটায় জড়িত। তারা প্রকাশ্যে টিলা কেটে মাটি বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

স্থানীয় লোকজন জানায়, একসময় পশু-পাখির কলকাকলিতে মুখরিত থাকত দিনারপুরের পাহাড়ি এলাকা। বিশেষ করে বন্য বানরের জন্য বিখ্যাত ছিল এ এলাকা। তখন এসব দেখার জন্য বিভিন্ন স্থান থেকে দর্শনার্থীরা ছুটে আসতেন। কিন্তু কালের বিবর্তনে আজ তা হারিয়ে যেতে বসেছে। পাহাড় কেটে জঙ্গল উজাড় করে ফেলায় এখন আর আগের মতো পশু-পাখি দেখা যায় না।

গত বছর দিনারপুরে পাহাড় ও টিলা সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ওই এলাকার পাহাড় কাটা নিয়ে জারি করা এক রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে গত বছরের ১২ জানুয়ারি বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। হাই কোর্টের এই রায়ের পরও টিলা কেটে মাটি বিক্রি করছে চক্রটি। এনিয়ে রয়েছে নানা আলোচনা সমালোচনা।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদ বিন-হাসান বলেন, পাহাড় বা টিলা কাটার বিষয়ে প্রশাসন সব সময় সচেতন রয়েছে। নিয়মিত খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে। কায়স্থগ্রামের টিলা কাটার খবর পাওয়ার পর তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যদি আর কেউ টিলা কাটে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(এমইউএ/এসপি/মার্চ ১৯, ২০১৮)