সঞ্জিব দাস, গলাচিপা (পটুয়াখালী) : সুন্দর এই পৃথীবি ছেরে কেউই যেতে চায়না। তবুও চলে যেতে হয়। বেঁচে থাকার জন্য কতো'ই না চেষ্টা করে, মানুষ মানুষের জন্য সহযোগিতার হাত বারিয়ে দিয়েছেন অনেক বিবেকবানসহ সমাজপতি হ্নদয়বান ব্যক্তি। হয়তো অনেকেই পৃথিবী থেকে চলে গেছে না ফেরার দেশে। আবার অনেকের সহযোগিতায় আজও বেঁচে আছে সুন্দর এই পৃথিবীতে। 

"মা" গো আমরে কি ডাক্তারের ভালো কইরা দেবেনা, মা' ও মা আমার আর ভালো লাগেনা" আমারে একটু ভালো কইরা দেওনা মা, কথা গুলো বলছি পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার চিকনিকান্দী ইউনিয়নের পানখালী গ্রামের হত- দরিদ্র কাটমিস্ত্রি মোঃ বিল্লালের ৫ বছরের শিশু রেফাউল।

পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতে জেলার সিনিয়র সাংবাদিক জলিলুর রহমানের সাথে দেখা হয় হতদরিদ্র ও অসহায় পরিবারের। আর তখনই ক্যামেরা বন্দী হয়, অসহায় পরিবারের আত্বজীবনী। জানা যায়, অবুঝ শিশু রেফাউল জন্মের পর থেকেই, হার্টের অসুখ সহ নানাবিধ দুরাগ্য ব্যাধি। তবুও একমাত্র ছেলে সন্তানের জীবন বাচাঁতে নিজের মাথা গুজার শেষ সম্বলটু বিসর্জন দিয়ে ছেলেকে বাচাঁনোর অমরন যুদ্ধ করছেন কাটমিস্ত্রি বিল্লাল। হত-দরিদ্র পরিবারটির পাশে আজ পর্যন্ত কেউ দাড়ায়নি, বলতেই কান্নায় ভেংঙ্গে পরে মৃত্যু পথ যাত্রী রেফাউল ও তার পরিবার। সাংবাদিক জলিলুর রহমান সোহেল তিনি, অসহায় পরিবারটির পাশে দাড়িয়ে, অসুস্থ রেফাউলের খবর নিতে।

পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজের সিনিয়র কনসালটেন্ট শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মোস্তাফিজুর রহমানের কাছে অসুস্থ রেফাউলের সার্বিক খোঁজ খবর জানতে চাইলে তিনি বলেন, শিশু রেফাউলের হার্ট , লিভার, কিডনি সহ বর্তমানে নিউমেনীয়া রোগ ধরা পরেছে। অতিদ্রুত তার উন্নত ব্যায় বহুল চিকিৎসার প্রয়োজন। এখবর শোনার পর অসহায় পরিবারটি দিশেহারা হয়ে কান্নাকাটি করতে থাকলে, সাংবাদিক জলিলুর রহমান সোহেল তাদের পাশে দাড়িয়ে দেশের সর্বস্তরে বিবেকবান মানুষদের এগিয়ে আসার আহবান জানান।

তিনি বলেন, বর্তমানে অনেকেই একটি সিগারেট ১২ টাকায় কিনে ধূয়ায় উরিয়ে দেন, আসুননা অনততো একটি সিগারেটের দাম দিয়ে হলেও শিশুটির সুন্দর একটি পৃথীবি উপহার দেয়ার চেষ্টা করি, কেননা "মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন, একটু সহানুভূতি কি আমরা দিতে পারি না।

সহযোগিতার জন্য রেফাউল এর বাবা কাটমিস্ত্রীর মোঃ বিল্লাল হাওলাদার এর বিকাশ নম্বার ০১৭৭১৩২৫৩৩৬।

(এসডি/এসপি/মার্চ ১৯, ২০১৮)