হবিগঞ্জ প্রতিনিধি : হবিগঞ্জের বানিয়াচং হত্যার ঘটনা সংক্রান্ত সংবাদ প্রদানে বিলম্ভের জন্য থানার ওসি মোজাম্মেল হোসেনকে শোকজ করেছে আদালত। একই সাথে ৩দিনের মধ্যে সংবাদ পাঠাতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে । আজ মঙ্গলবার হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শম্পা জাহান এই নির্দেশ দেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, বানিয়াচং উপজেলার ইকরাম গ্রাম থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারি সকালে আলী হোসেন নামে এক ব্যাক্তির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ব্যাপারে আলী হোসেনের ভাই আলী সুন্দর বাদী হয়ে বানিয়াচং থানায় মামলা দায়ের করেন। এতে আলী হোসেনের স্ত্রী রানু বেগমকেও আসামী করা হয়। পরে রানু বেগম আদালতে একই ঘটনায় আরেকটি মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ বিচারক শম্পাজাহান মামলাটি গ্রহণের পূর্বে এ ব্যাপারে থানায় কোন মামলা হয়েছে কিনা ৭ কার্যদিবসের মাঝে তার সংবাদ দিতে নির্দেশ দেন। নির্ধারিত সময়ে প্রতিবেদন না আসায় আরও ৩দিন সময় বৃদ্ধি করা হয়। কিন্তু মঙ্গলবার নির্ধারিত তারিখে প্রতিবেদন না আসায় বিজ্ঞ বিচারক উপরোক্ত আদেশ দেন।

রানু বেগমের আইনজীবী অ্যাডভোকেট হাফিজ উদ্দিন জানান, রানু বেগম তার স্বামী হত্যার বিচার চেয়ে আদালতে মামলা দায়ের করলেও পুলিশ উল্টো তাকেই গ্রেফতার করে এবং তার ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণ করে। আদালতের নির্দেশের পরও তারা নির্ধারিত সময়ে সংবাদ প্রদান করেনি বলে বিচারক ওসি কে শোকজ করেন।

বানিয়াচং থানার ওসি মোজাম্মেল হক জানান, আলী হোসেন হত্যার পরই তার ভাই থানায় মামলা দায়ের করেন। আসামী রানু বেগমকে গ্রেফতার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণ করেছেন বিজ্ঞ বিচারক শম্পা জাহান। পরকিয়ার জন্য রানু বেগম আলী হোসেনকে হত্যা করেছিল। সে আদালতে মামলা দায়ের করলে বিচারক আর কোন মামলা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে নির্ধারিত সময়েই প্রতিবেদন দেয়া হয়। ১৮ মার্চ প্রতিবেদনে তিনি স্বাক্ষর করেন এবং ১৯ মার্চ আদালত পরিদর্শকের কাছে তা পাঠানো হয়। এখন বিজ্ঞ বিচারক যদি প্রতিবেদন না পান তাহলে তার দায় আমার উপর নয় সেখানকার দায়িত্বশীলদের উপর বর্তাবে।

আদালত পরিদর্শক অহিদুর রহমান পিপিএম জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে দেখব।

(এমইউএ/এসপি/মার্চ ২০, ২০১৮)