আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সৌদি আরব খুবই সম্পদশালী দেশ। তারা কিছু সম্পদ আমাদেরকে দিতে যাচ্ছেন। আশাকরি এতে কর্মসংস্থান হবে এবং তারা বিশ্বের যেকোনো জায়গার চেয়ে চমৎকার সামরিক সরঞ্জাম কিনতে পারবে। খবর আল জাজিরার।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান প্রথম বারের মতো হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। বৈঠকে সামরিক চুক্তি, যুক্তরাষ্ট্রে বিনিয়োগ এবং নিরাপত্তা সহযোগিতা নিয়ে দুজনের মধ্যে আলোচনা হয়।

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সৌদির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক হৃদ্যতার কথা উল্লেখ করেন ট্রাম্প। তিনি ৩২ বছর বয়সী যুবরাজ সালমানের নতুন নতুন পদক্ষেপের জন্য ভূয়সী প্রশংসা করেন।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ‘সৌদির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক আগের চেয়ে অনেক বেশি গভীর। আমি মনে করছি, এই সম্পর্ক দিন দিন উন্নতির দিকে যাবে। বিশাল অংকের টাকা সৌদি বিনিয়োগ করছে। এর ফলে আমাদের জনগণের জন্য কর্মসংস্থান হচ্ছে।’

সৌদি যুক্তরাষ্ট্র থেকে যে বিশাল পরিমাণ সামরিক অস্ত্র, ছোট থেকে বড় যুদ্ধ জাহাজ, ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, যুদ্ধ বিমান, যুদ্ধের যানবাহন ক্রয় করেছে তার একটা তালিকা দেখান ট্রাম্প।

ট্রাম্প থেকে ৩৯ বছরের ছোট যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান সৌদি-যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘ দিনের সম্পর্কের দিকে ইঙ্গিত করেন বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে পুরনো মিত্র সৌদি আরব। ৮০ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের জোটে আছি আমরা এবং আমাদের মধ্যে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, নিরাপত্তাজনিত সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের সম্পর্ক সত্যিই অনেক বিশাল এবং গভীর।'

গত বছর দুই দেশের মধ্যে ২০০ বিলিয়ন ডলারের সামরিক চুক্তি হয়। এই চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বড় ধরনের সামরিক অস্ত্র কেনা ও বিনিয়োগের বিষয়টি উল্লেখ আছে।

তবে মঙ্গলবারের বৈঠকে যুবরাজ সালমান বলেছেন, এই চুক্তির দ্বিগুণের বেশি টাকা সৌদি যুক্তরাষ্ট্রে বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে।

যুবরাজ সালমান ট্রাম্পের উদ্দেশ্য বলেন, ‘আপনি ক্ষমতায় গ্রহণের প্রথম দিন থেকে আমরা পরিকল্পনা করেছিলাম পরবর্তী চার বছরের জন্য ২০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করব। তবে এটি এখন ৪০০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে।’

এই সাক্ষাৎ ‘মর্মান্তিক কৌতুক’

আল জাজিরার জ্যেষ্ঠ রাজনৈতিক বিশ্লেষক মারওয়ান বিশারা ওভাল অফিসের এই বৈঠককে ‘মর্মান্তিক কৌতুক’ বলে উল্লেখ করেছেন।

তিনি বলেন, ‘মার্কিন প্রেসিডেন্ট আসলে যুবরাজ সালমানকে মার্কিন জনগণের কাছে বিক্রি করার চেষ্টা করছেন। যেখানে সৌদির ভাবমূর্তি খুবই খারাপ।’

(ওএস/এসপি/মার্চ ২১, ২০১৮)