স্টাফ রিপোর্টার : এফবিসিসিআই’র সাবেক সভাপতি এ কে আজাদের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কার্যালয়ে তলব করা হয়েছে।

দুদকের পরিচালক মীর মোহাম্মদ জয়নুল আবেদিন বুধবার এ সংক্রান্ত চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন। চিঠিতে এ কে আজাদকে ৩ এপ্রিলের মধ্যে দুদকের সেগুনবাগিচা কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে।

দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টচার্য জানান, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের পরিচালক মীর জয়নুল আবেদিন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক একে আজাদকে তলব করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘একে আজাদের বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকার কর ফাঁকি দিয়ে ঘোষিত আয়ের বাইরে হাজার কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগের কথা বলা হয়েছে দুদকের পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলী স্বাক্ষরিত ওই নোটিশে।’

প্রসঙ্গত, গতকাল হা-মীম গ্রুপের মালিক এবং এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি এ কে আজাদের গুলশানের বাড়ির সামনের একটি অংশ ভেঙে দেয় রাজউক। অনুমোদিত নকশা না থাকার অভিযোগে ওই অভিযান চালানো হয়।

গতকাল সকাল ৯টার দিকে রাজউকের পরিচালক অলিউর রহমানের নেতৃত্বে গুলশানের ৮৬ নম্বর সড়কের ১ নম্বর বাড়িটি ভাঙতে অভিযান শুরু হয়। বেলা ১টার দিকে বিরতিতে যাওয়ার আগে এক বিঘা নয় কাঠা ১৩ ছটাক জমির একাংশে তৈরি ওই দোতলা বাড়ির পার্কিং শেড, নিচতলার ওয়েটিং রুমের কিছু অংশ, দোতলার একটি বেড রুম এবং ড্রইং রুমের কিছু অংশ ভেঙে ফেলা হয়।

অলিউর রহমান সে সময় সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের টাস্কফোর্স এসে এ বাড়িতে রাজউক অনুমোদিত কোনো নকশা পায়নি। যারা বাড়ির মালিক, তারা রাজউক অনুমোদিত নকশা দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন। এটি একটি অবৈধ ভবন, রাজউকের নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে আমরা বাড়িটি ভেঙে ফেলছি।’

অবশ্য ভবন ভাঙার কাজ অসমাপ্ত রেখেই বিকাল ৪টার দিকে দিনের মতো অভিযান স্থগিত রেখে ওই বাড়ি ছাড়েন রাজউক কর্মীরা।

তারা চলে যাওয়ার পর এ কে আজাদের শ্যালক শোয়েবুল ইসলাম ওই বাড়ির সামনে সাংবাদিকদের বলেন, একটি ‘ভুল বোঝাবুঝি’ হয়েছিল। রাজউক কর্মকর্তারা যে নথি চেয়েছিলেন, তা দেখানোর পর তারা চলে গেছেন।

(ওএস/এসপি/মার্চ ২১, ২০১৮)