স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের উত্তরণের যোগ্যতা (এলডিসি স্ট্যাটাস) অর্জন করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাঙালি যে পারে এটাই তার প্রমাণ। বাংলাদেশের যে উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা শুরু হয়েছে তা যেন থেমে না যায়।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে এ পর্যায়ে অাসতে হয়তো ১০ বছর সময় লাগতো। কিন্তু অামরা তা পারিনি। অাজকের এ পর্যায়ে অাসতে অামাদের ৩৭ বছর সময় বেশি লেগেছে। তবে এ ধারা অব্যাহত থাকলে ৪১ সালে (২০৪১) বাংলাদেশ হবে দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠ সমৃদ্ধ দেশ। তখন হয়তো বেঁচে থাকব না। কিন্তু অামাদের সন্তানরা সে সুফল ভোগ করবে।

বাংলাদেশ এলডিসি স্ট্যাটাস প্রাথমিক পর্যায়ে উত্তরণ করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। বৃহস্পতিবার (২২ মার্চ) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সংবর্ধনা এবং উদযাপন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু অান্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ অনুষ্ঠানের অায়োজন করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের নেয়া বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনা ও সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার কারণে বাংলাদেশ অাজ উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। অামরা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন এ দেশের মানুষ যেন ভালো থাকে। কারণ, শোষণ বঞ্চনার বিরুদ্ধে লড়াই করেই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। স্বাধীন বাংলাদেশের মানুষ বিশ্ব দরবারে মাথা উচু করে চলবে এটাই ছিল তার (বঙ্গবন্ধু) লক্ষ্য।

তিনি আরও বলেন, যুদ্ধবিধস্ত একটি দেশ গড়তে সময় পেয়েছিলেন মাত্র সাড়ে তিন বছর। এর মধ্যেই তিনি প্রতিটি সেক্টরে উন্নয়নের জন্য কাজ শুরু করেছিলেন। সে সময় প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছিল ৭ ভাগে। তখনই বাংলাদেশ স্বল্পন্নোত দেশের যাত্রা শুরু করে। এ কারণেই কুচক্রীরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে।

এর আগে অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন। এ সময় সেখানে কিছু সময় নিরবে দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি।

সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ অায়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী অাবুল মাল অাবদুল মুহিত। স্বল্পন্নোত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হওয়ার জন্য জাতিসংঘের দেয়া সুপারিশপত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে অর্থমন্ত্রী তুলে দেন। এরপর রাষ্ট্রপতি, স্পিকার, প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রিসভার প্রতিনিধি, সংসদের বিরোধী দলের নেতাসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার প্রতিনিধিগণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব কাজী শফিকুল অাজম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘের অান্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ও ইউএনডিপির পরিচালক এবং সেক্রেটারি জেনারেল। এছাড়া সভাপতির বক্তব্যের অাগে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

(ওএস/এসপি/মার্চ ২২, ২০১৮)