সঞ্জিব দাস, গলাচিপা (পটুয়াখালী) : চাচা শ্বশুরেরর হাতে  নির্যাতনের শিকার হয়ে হাসপাতালে চরমোন্তের মেয়ে লাকি রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ  ইউনিয়নে গৃহবধূকে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। 

চাচা শশুর বাড়িতে নির্মম নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ লাকী ইউনিয়নের উত্তর চরমোন্তাজ গ্রামের মো:রেজাউল পল্লানের মেয়ে।

বুধবার দুপুরে নির্যাতনের শিকার হন তিনি। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় গলাচিপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করে তার স্বামী। তার চাচা, শ্বশুর, ও শ্বাশুরীর হাতে নির্যাতনের শিকার হন তিনি।

সূত্র জানায়,বুধবার সকাকে লাকীর ছোট দেবর সাব্বির ৬ কে তার চাচা শ্বশুর মারধোর করে খবর শুনে লাকী তার চাচা শ্বশুর কে বলেন আমার শ্বশুর শাশুরী মারা গেছে ওকে ছোট রেখে ও জদি কিছু করে আমাকে বলতেন কথার কাটা কাটিতে লাকীর চাচি শাশুরী মোসাঃ খাদিজা ও চাচা শশুর মোঃ আলি মোল্লা, লাকীর চুল ধরে মারতে থাকে। লাকী ৬ মাসের গর্ভবতী হওয়ায় সেখানেই অঞ্চান হয়ে পরে।

লাকীর শ্বশুর বাড়ি একই গ্রামের মোল্লা বাড়ি।লাকীর স্বামীর নাম,রাকিব মোল্লা। তার শ্বশুরের নাম মো:আবু মোল্লা। নির্যাতনের শিকার লাকীর মা জানায়, স্বামীর অনুপস্থিতিতে তার চাচা শ্বশুর, শাশুরী মিলে তার উপর নির্মমভাবে শারীরিক নির্যাতন চালায়।

পাশের বাড়ির লোকজন এসে লাকীকে উদ্ধার করে গলাচিপা হাসপাতাল পাঠায়। এ বিষয়ে লাকীর কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে প্রথমেই বলেন আমার জন্য কিছু একটা করেন, আমি মনেহয় আর বাচবোনা।

এ বিষয় চরমোন্তাজ পুলিশ তদন্তকেন্দ্র ইনচার্জ সুদেব হাওলাদারের কাছে জানতে চাইলে, তিনি বলেন খবর শুনেছি অভিযোগ পেলে ব্যাবস্থা নিবো।

(এসডি/এসপি/মার্চ ২২, ২০১৮)