স্পোর্টস ডেস্ক, ঢাকা : ব্রাজিল বিশ্বকাপে গোলের পর গোল হচ্ছে। সর্বাধিক গোলের রেকর্ডও প্রায় কাছাকাছি। প্রথম রাউন্ডে গোলের জোয়ার দেখে ব্রাজিল অধিনায়ক সিলভা তাই বলেছিলেন, 'এই বিশ্বকাপ ডিফেন্ডারদের নয়।' কিন্তু সেই কথা সেমিফাইনালের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে অন্তত সঠিক বলে ধরে নেওয়ার সুযোগ নেই। ডিফেন্ডাররাও পারেন, সেই সামর্থ্যের প্রদর্শনী হয়ে গেছে কোয়ার্টার ফাইনালেই। ব্রাজিল যে কলম্বিয়াকে হারিয়ে সেমিতে খেলতে নামছে, তাও তো দুই ডিফেন্ডারের অবদানে।

একজন 'ডিফেন্ডারের নয়' বলা স্বয়ং ব্রাজিল অধিনায়ক সিলভা আর অপরজন ডেভিড লুইজ। দুই সতীর্থের রসায়নে রক্ষণ থেকে শুরু করে আক্রমণভাগ পর্যন্ত দুরন্ত হয়ে উঠছিল স্বাগতিকরা। কিন্তু সুরটা থাকছে না সেমিতে। হলুদ কার্ডের গেরোয় পড়ে খেলতে পারছেন না সিলভা। লুইজের কাঁধে নিজের দায়িত্ব তো আছেই, সঙ্গে যোগ হলো তাই সিলভার অভাব পূরণের দায়িত্বও। সেটা শুধু অধিনায়কত্বেরই নয়, সিলভার মাঠের শূন্যতাও। মাত্র এক মাস আগে চেলসি থেকে ৮৫ মিলিয়ন ডলারে পাড়ি দিয়েছেন প্যারিস সেইন্ট জার্মেইনে। এর আগে সর্বশেষ মৌসুমগুলোতে মরিনহো তাকে মিউফিল্ডেই বেশি খেলিয়েছেন।

কিন্তু লুইজের আসল পরিচয় তো ডিফেন্ডারই। এখন সিলভার অভাবে ডিফেন্সে একটু বেশিই মনোযোগ দিতে হবে তাকে। কিন্তু ব্রাজিলের আক্রমণ ভাগ? নেইমারের বিশ্বকাপ শেষ। ফ্রেড, জো-রা হতাশ করে চলেছেন। তবে এ নিয়ে ঘাবড়ে যাচ্ছেন না লুইজ, 'আমি প্রস্তুত। এই দলটা সামলানো খুবই সহজ। সবই সুশৃঙ্খল এবং মজার। একটা পরিবার আর সংঘবদ্ধ হয়েই আমরা থাকি।' ব্রাজিল দল অনেক বেশি তাকিয়ে আছে লুইজের দিকেই।

স্কলারি ব্রাজিল দলের দায়িত্ব নিয়েছেন ২০ মাস আগে। তারপর থেকে যত ম্যাচে নব্বই মিনিট মাঠে ছিলেন, তার একটিতেও হারেনি ব্রাজিল। দলে থাকা এবং পারফরম্যান্সের গুরুত্ব বোঝেন লুইজ নিজেও। 'জার্মানি বড় দর্শনের বড় দল। তাদের ভালো খেলোয়াড় এবং ভালো একজন কোচ আছেন। দারুণ একটি খেলা হবে। তবে আমরাও নিজেদের সামর্থ্য নিয়ে বিশ্বাসী।'

সেমিফাইনালে খেলতে নামার আগে লুইজের সুখস্মৃতি আছে জার্মানিকে নিয়েও। ২০১২ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লীগে জার্মানির বায়ার্ন মিউনিখের মুখোমুখি হয়েছিল লুইজের চেলসি। দলের অধিনায়ক ও বড় ভরসা জন টেরির অনুপস্থিতিতে দায়িত্ব এসে পড়ে লুইজের কাঁধে। অধিনায়কত্ব এবং কড়া রক্ষণ_ দুটোতেই বছরের সেরা পারফরম্যান্সই দেখিয়েছিলেন ওই ম্যাচে।

(ওএস/পি/জুলাই ০৮,২০১৪)