শরীয়তপুর প্রতিনিধি : শরীয়তপুর সদর উপজেলার আঙ্গারিয়া বাজারের পাশে উপরগাঁও গ্রামে সজীব সরদার (২০) নামে এক রিক্সা চালকের গলা কাটা মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পালং থানা পুলিশ। নিহত সজীবের পরিবারে চলছে শোকের মাতম। হত্যাকাণ্ডের সঠিক কারণ খুঁজতে তদন্ত করছে পুলিশ। 

জানা গেছে, বুধবার রাত সাড়ে ৯ টা পর্যন্ত সজীব আঙ্গারিয়া বাজারে রিক্সা চালায়। এরপর তার ১১টা পর্যন্ত সজীব বাড়ি না ফেরায় এবং তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়ায় পরিবারের সদস্যরা রাতভর উৎকণ্ঠিত হয়ে তাকে খোঁজাখুজি করে কোথাও খুঁজে পায়নি।

বৃহস্পতিবার ভোর ৫টার দিকে উপরগাঁও গ্রামের আবুল সরদারের ভিটার পাশে একটি ফসলি জমিতে তার গলা কাটা মৃত দেহ দেখতে পেয়ে শরীয়তপুর সদর পালং থানা পুলিশকে খবর দেয় এলাকাবাসী। পুলিশ এসে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য শরীয়তপুর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। নিহত সজীব শরীয়তপুর পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের নিলকান্দি গ্রামের রিক্সা চালক কুদ্দুস সরদারের ছেলে।

কুদ্দুস সরদার বলেন, প্রতিবেশী মতিউর রহমান মুন্সির সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ আমাদের জমিজমা নিয়ে দ্বন্দ চলে আসছে। এ নিয়ে মামলা মোকদ্দমাও চলছে। মতি মুন্সি আমার পরবিারকে উচ্ছেদ করার জন্য এ হত্যাকান্ড ঘটাতে পারে। মতি মুন্সি ছারা এ দেশে আমার আর কোন শত্রু নেই। এ ঘটনায় আমি তাকেই সন্দেহ করি। আমি আমার ছেলের হত্যাকারিদের বিচার চাই।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মুঠো ফোনে মতিউর রহমান মুন্সি বলেন, কুদ্দুস সরদারের পরিবারের সাথে আমার সামান্য জমিজমা নিয়ে দ্বন্দ আছে। তাদেরকে খুন করে এখান থেকে তাড়ানোর মত কোন দ্বন্দ নেই। আমার আরেক প্রতিবেশী হাফেজ হাফিজুর রহমান মল্লিক ওরফে পাংখা হুজুরের সাথেও দীর্ঘদিন থেকে আমার জমিজমা নিয়ে দ্বন্দ চলছে। এর আগে পাংখা হুজুর আমাকে ফাঁসাতে অনেক চেষ্টা করেছে। কুদ্দুস সরদারের ছেলে সজীবকে পাংখা হুজুরের ছেলে কাওসার ও তার সঙ্গী জঙ্গী লাদেন ওরফে আনোয়ার ছৈয়াল এবং গুচ্ছ গ্রামের দলিল সরদার খুন করে আমার উপর দায় চাপানোর চেষ্টা করছে বলে আমি মনে করছি। পুলিশ সঠিকভাবে তদন্ত করলেই এ হত্যাকান্ডের সাথে জরিত প্রকৃত খুনিদের খুঁজে পাবেন।

শরীয়তপুর সদর পালং মডেল থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান মনির বলেন, হত্যাকাণ্ডের খবর জানার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে এসে দেখি সজীব নামে একটি ছেলেকে নির্মমভাবে জবাই করে হত্যা হরা হয়েছে। হত্যা কান্ডের সঠিক রহস্য ও এর সাথে জরিতদের বিষয়ে তদন্ত চলছে। নিহতের পরিবারের সাথে কথা বলে এবং যথাযথ তদন্তের পরে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনী পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।

(কেএনআই/এসপি/মার্চ ২২, ২০১৮)