গোলমহলের মধ্যেও পাকা ভবন নির্মাণ!
মিলন কর্মকার রাজু, কলাপাড়া (পটুয়াখালী) : চারিদিকে গোলমহল (গোলপাতা গাছ)। সেই গোলমহলের মধ্যে নির্মাণ করা হচ্ছে পাকা স্থাপনা। পটুয়াখালীর কলাপাড়ার বালিয়াতলী লঞ্চঘাট এলাকায় গত এক সপ্তাহ ধরে প্রকাশ্যে এই পাকা স্থাপনা নির্মাণ কাজ চললেও বনবিভাগ কিছুই জানেন না।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, গোলমহল ব্যারিকেড দিয়ে প্রকাশ্যে পাকা স্থাপনা নির্মাণ কাজ করছেন স্থানীয় নুর সায়েদ ফরাজী। সে ওই গোলমহলের জায়গা নিজের দাবি করে এই স্থাপনা তুলছেন। অথচ কয়েক যুগ আগে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছ থেকে বন বিভাগ জায়গা নিয়ে বন বিভাগ এই গোলমহল তৈরি করেণ। প্রতিবছর এই গোলমহল ইজারাও দেয়া হচ্ছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেণ, বালিয়াতলী বন বিভাগের ফরেষ্ট গার্ড মো. কবির এই বিষয়টি জানলেও অবৈধ স্থাপনা নির্মাণে কোন বাঁধা দিচ্ছেন না। এ কারণে গোল মহলের মধ্যে পাকা স্থাপনা নির্মান কাজ শেষ হওয়ার পর এখন চলছে গোলগাছের মধ্যেই সীমানা ওয়াল নির্মাণ কাজ। ইতিমধ্যে একাধিক গাছ কেটে ফেলাও হয়েছে।
গোলমহলে স্থাপনা নির্মানকারী ব্যবসায়ী নুর সায়েদ ফরাজী জানান,ক্রয় সূত্রে ওই জামির মালিক তিনি। গোলমহলের মধ্যে না নিজের জায়গায় স্থাপনা নির্মাণ করেছেন। ফরেস্টের লোকজন এসে কাজ বন্ধ করতে বলায় এখন কাজ বন্ধ রেখেছেন।
এ ব্যাপারে ফরেষ্ট গার্ড মো. কবির জানান, গোলমহলের ৬৫ ফুট জায়গা তাদের। তাই স্থাপনা নির্মাণের খবর পেয়েই তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন।
বন বিভাগের মহীপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ জানান, তিনি বিষয়টি জানার পরই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে জণ্য বলেছেন। কেউ অবৈধ স্থাপনা তুললে কিংবা বন বিভাগের গাছের ক্ষতি করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
(এমকেআর/এসপি/মার্চ ২২, ২০১৮)