আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিশ্বের চরম ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা প্রতিবছর বেড়েই চলছে। ২০১৫ সালে এই সংখ্যা ৮ কোটি থাকলেও ২০১৭ সালের শেষে তা এসে দাঁড়িয়েছে ১২ কোটি ৪০ লাখে। আর ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা ২০১৫ সালে ছিল ৭৭ কোটি ৮০ লাখ যা এখন ৮১ কোটি ৫০ লাখ। ক্ষুধার্ত ও চরম ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধির মূল কারণ হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়া অস্থিতিশীলতা ও সহিংসতাকে চিহ্নিত করেছেন বিশেষজ্ঞরা।  কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।

খবরে বলা হয়, জাতিসংঘের একটি সম্মেলনে সুইজারল্যান্ড থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দেন জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির নির্বাহী পরিচালক ডেভিড বিয়াসলি। তিনি বলেন, গত দুই বছরে সারাবিশ্বে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ার কারণ ‘মানুষ একে-অপরকে গুলি চালিয়ে যাচ্ছে।’ তিনি বলেন, ২০১৫ সালে বিশ্বে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা ছিল ৭৭ কোটি ৮০ লাখ। ২০১৬ সালে তা বেড়ে ৮১ কোটি ৫০ লাখ হয়েছে। আর চরম ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা ২০১৫ সালে ছিল ৮ কোটি, ২০১৬ সালে ১০ কোটি ৮০ লাখ আর ২০১৭ সালে হয়েছে ১২ কোটি ৪০ লাখ। গত তিন বছরে এ সংখ্যা বেড়েই চলেছে।

বিয়াসলি বলেন, ৮১ কোটি ৫০ লাখ ক্ষুধার্ত মানুষের ৬০ ভাগই সংঘাতপূর্ণ এলাকাগুলোতে বাস করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা ২০৩০ সালে মধ্যে বিশ্ব থেকে ক্ষুধা নির্মূল করতে পারতাম কিন্তু যতদিন যুদ্ধ চলবে ততদিন তা সম্ভব নয়।’

সম্মেলনে জাতিসংঘের ত্রাণ বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল মার্ক লোওকুক বলেন, ভয়ংকর পুর্বানুমান সত্বেও বিগত কয়েক দশকের মধ্যে দুর্ভিক্ষের ঘটনা এখন অনেক কম। আর এসব দুর্ভিক্ষের ভয়াবহতাও আগের চেয়ে কমে এসেছে।

লোওকুক বলেন, ‘দুর্ভিক্ষ ও ক্ষুধার ঝুঁকি এখন অল্প কয়েকটি দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। এসব দেশে দীর্ঘদিন ধরে বিশাল আকার ও তীব্র সংঘাত চলে আসছে। তিনি বলেন, অপুষ্টির শিকার প্রায় ৪৯ কোটি মানুষ ও বিশ্বের ১৫ কোটি ৫০ লাখ অপুষ্ট শিশুই সংঘাতপূর্ণ এলাকার বাসিন্দা।

(ওএস/এসপি/মার্চ ২৫, ২০১৮)