স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় অভিযোগ করে বলেছেন, আজকে যাদের হাতে শাসন ব্যবস্থা। তারা গণতন্ত্র বুঝে না, জানতেও চায় না। তাই আমাদের দল সংগঠিত করে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিতে হবে। যেমন সরকার তেমন ওষুধ দিবেন। আর সেটা হল রাজপথ। রাজপথে এ সরকারের মোকাবেলা করতে হবে।

রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘প্রত্যাগত প্রবাসী দল’ আয়োজিত বিএনপির শীর্ষ নেতাদের মুক্তির দাবিতে প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

স্বৈরাচারী সরকারের হাত থেকে গণতন্ত্রকে মুক্ত ও প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলে আইন মেনে আন্দোলন করলে চলবে না বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

গয়েশ্বর বলেন, সরকার যেভাবেই হোক ক্ষমতায় থেকে রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুটপাট ও দুর্নীতি করে দেশে বিদেশে বাংলাদেশের সুনাম ক্ষুণœ করছে।

তিনি বলেন, বিচার বিভাগ স্বাধীন হলে আমরা ন্যায় বিচার পাব, সরকার ইচ্ছা করলেই হয়রানি করতে পারবে না।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, আমার একটা বক্তব্যের বিষয়ে আদালত দলের সিনিয়র নেতাদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেছেন, আমি দু:খিত, মর্মাহত। গয়েশ্বর রায়ের এ কথা বলা উচিত হয়নি। একজন ল’ইয়ার হিসেবে দু:খিত বলার অর্থ হল আমার কথার সঙ্গে তিনি একমত নন। তাহলে আমরা দলের পক্ষে কী ভাবে কাজ করব। তিনি আইনজীবী হলেও উনাকে মনে রাখতে হবে উনি দলের একজন নীতি নির্ধারণী পর্যায়ের নেতা।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, আজকে যাদের হাতে শাসন ব্যবস্থা। তারা গণতন্ত্র বুঝে না, জানতেও চায় না। তাই আমাদের দল সংগঠিত করে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিতে হবে। যেমন সরকার তেমন ওষুধ দিবেন। আর সেটা হল রাজপথ। রাজপথে এ সরকারের মোকাবেলা করতে হবে।

এখানে প্রেসক্লাবে বসে আলোচনা আর প্রতিবাদ করে লাভ হবে না বলেও নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে নিজের অভিমত প্রকাশ করেন গয়েশ্বর।

সংগঠনের সভাপতি এস এম তাফাজ্জল হোসেনের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য দেন- বিএনপি সহ আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিতাই চন্দ্র রায়, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এস এম সোহরাব হোসেন প্রমুখ।

(ওএস/এটি/ এপ্রিল ১৩, ২০১৪)