মাদারীপুর প্রতিনিধি : মাদারীপুর জেলখানায় আসামী শাহীন মোল্লার (২৫) মৃত্যুর ঘটনায় নির্যাতনে মৃত্যুর অভিযোগ এনে মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে মামলা করেছে নিহতের মা রেবা বেগম।

কালকিনির ডাসার থানায় মামলা না নিয়ে অবশেষে আদালতে মামলা করা হয়। মামলায় ডাসার থানার এসআই মীর নাজমুল আহসানকে প্রধান আসামী করে ওসি এমদাদুল হক, পুলিশ সদস্য ফরহাদ হোসেন ও সালাউদ্দিনসহ একই উপজেলার কাজী এলাকার নজরুল ফকিরকে আসামী করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ৮ জুন মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার ভাউতলী গ্রাম থেকে শাহীন মোল্লাসহ অপর দুইজনকে আটক করে ডাসার থানা পুলিশ। এসময় ঐ থানার এসআই মীর নাজমুল আহসান আটক ৩ জনের কাছ থেকে ১ লাখ টাকা দাবি করে। দুজনের অভিভাবক ৭০ হাজার টাকা দিলে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়। কিন্তু শাহীন মোল্লার অভিভাবক টাকা দিতে না পারায় থানায় বসেই বেদম মারপিট করে। পরে ৫ পিস ইয়াবা পাওয়ার অভিযোগ এনে শাহীনকে জেলে পাঠানো হয়।

১৪ জুন রাত ৯টার দিকে জেলখানায় থাকা অবস্থায় শাহীন মোল্লার মৃত্যু হয়। সে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার পূর্ব সমরসিংহ গ্রামের মোস্তাফা মোল্লার ছেলে।

এই ঘটনার পরের দিন সন্ধ্যা ৬টায় বরিশালের গৌরনদী উপজেলার উত্তর সমরসিংহ গ্রামের সহস্রাধিক লোক লাঠিসোটা সহকারে মিছিল নিয়ে পাশ্ববর্তী মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার ডাসার থানা ঘেরাও করে। এক পর্যায় পুলিশের সাথে তাদের সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এই ঘটনার পরের দিন ডাসার থানা পুলিশ প্রায় ৬শ গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে মামলা করে।

অপরদিকে নিহত শাহীনের পরিবার থেকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মামলা দিতে গেলে ডাসার থানা মামলা নেয়নি। অবশেষে মঙ্গলবার দুপুরে মাদারীপুর বিজ্ঞ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ডাসার থানার এসআই মীর নাজমুল আহসানকে প্রধান আসামী করে ওসি এমদাদুল হক, পুলিশ সদস্য ফরহাদ হোসেন ও সালাউদ্দিনসহ একই উপজেলার কাজীবাকাই এলাকার নজরুল ফকিরকে আসামী করা হয়েছে।

এব্যাপারে বাদী পক্ষের আইনজীবী এড. ইয়াদ মোর্শেদ সজল বলেন, পুলিশের নির্যাতনে শাহীন মোল্যার মৃত্যু হয়েছে। তাই এই মামলায় সুষ্ঠু বিচার হলে দেশের সাধারণ মানুষের আইনের প্রতি শ্রদ্ধা বেড়ে যাবে। নিহতের পরিবার সঠিক বিচার পাবে।

(এএ/জেএ/জুলাই ০৮, ২০১৪)