স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর শাহবাগের ‘শহীদ জিয়া শিশু পার্ক’ এর নাম ইতোমধ্যে পরিবর্তন করে ‘শিশু পার্ক’ করা হয়েছে। এই পার্কের নামফলকে থাকা জিয়ার নামও সরিয়ে ফেলার কথা জানিয়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

কিন্তু পার্কের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এমন কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তাই শিশু পার্ক থেকে জিয়ার নাম সরানো নিয়ে ‘বিভ্রান্তি’ তৈরি হয়েছে।

গত বুধবার (২১ মার্চ) সচিবালয়ে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস পালন, ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে গৃহীত কর্মসূচি এবং মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নতুন প্রকল্প নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘ইতোমধ্যে জিয়া শিশু পার্কের নাম আমরা পরিবর্তন করেছি। কাগজপত্রে জিয়া শিশু পার্কের যে নাম ছিল তা এখন আর নেই। অনেকে হয়তো এটা জানেন না। ব্যাপকভাবে প্রচারের জন্য আমরা নতুনভাবে (শিশু পার্ক) যখন করব সেটির (নতুন নামের) প্রতিফলন হবে।’

নতুন কী নাম দেয়া হয়েছে- জানতে চাইলে মোজাম্মেল হক বলেছিলেন, ‘নতুন করে কোনো নাম রাখা হয়নি, এখন শুধু শিশু পার্ক।’

‘শহীদ জিয়া শিশু পার্ক’ নামফলকটি তো সরেনি- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেছিলেন, ‘পুরনো নামফলকটা এখনও রয়ে গেছে। আমরা এই সপ্তাহের মধ্যে (২৩ মার্চের মধ্যে) ইনশাআল্লাহ সরিয়ে দেব। এটা আমাদের দৃষ্টিতে ছিল না।’

কিন্তু সোমবার বিকেলে শিশু পার্কে গিয়ে দেখা যায়, নামফলকটি আগের মতোই রয়েছে।

নাম পরিবর্তনের বিষয়ে জানতে চাইলে শিশু পার্কে দায়িত্বে থাকা ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) উপ-সহকারী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘পার্কের নাম পরিবর্তনের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। কাগজপত্রে এখনও এর নাম- শহীদ জিয়া শিশু পার্ক। আর নামফলক পরিবর্তনের বিষয়েও আমরা এখনও কোনো নির্দেশনা পাইনি। সবকিছু আগের মতোই আছে।’

শিশু পার্কের বর্তমান স্থানটিতে ১৯৭১ সালে পাক-হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করেছিল- এজন্য এই স্থান থেকে শিশু পার্ক সরানো ও একই সঙ্গে নাম পরিবর্তন করার কথা এর আগেও জানিয়েছিলেন আ ক ম মোজাম্মেল হক।

মন্ত্রী গত ২১ মার্চ জানান, শিশু পার্কটি আরও পূর্বদিকে সরানো হবে। আরও রাইড নিয়ে নতুন আদলে আকর্ষণীয়ভাবে সাজানো হবে এটি। শিশুরা পার্কে এসে চলে যেতে পারবে না, তাদের এসে আত্মসমর্পণের স্থান দেখে যেতে হবে। তারা শিশু পার্কের সুবিধাও ভোগ করবে এবং দেশের ইতিহাসের কিছু উপাদান যাতে দেখে যেতে পারে সেই ব্যবস্থাও থাকবে।