জে জাহেদ, চট্টগ্রাম : চট্টগ্রামে যুবলীগ কর্মী মহিউদ্দিন মহির খুনিদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন প্রশ্ন রেখেছেন, সে এমন কী অপরাধ করেছে তাকে দিনেদুপুরে কুপিয়ে মারতে হবে?

মঙ্গলবার (২৭ মার্চ) বিকেলে মেহের আফজল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মহিউদ্দিনের জানাজায় তিনি এ প্রশ্ন রাখেন। জানাজায় নানা বয়সী মানুষের ঢল নামে।

আ জ ম নাছির বলেন, যারা অপরাধী তাদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। যারা এ হত্যাকা-ে জড়িত সবাইকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। দ্রুত গ্রেফতার করে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের আহ্বান জানাচ্ছি পুলিশ প্রশাসনের প্রতি।

জানাজায় অংশ নেন নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন, আবদুল লতিফ, নুরুল আলম, কাউন্সিলর গোলাম মোহাম্মদ চৌধুরী, যুবলীগ নেতা ফরিদ মাহমুদ, এম হাসান মুরাদ, মো. হাসান প্রমুখ।

জানাজা শেষে আওয়ামী লীগের নেতারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং নিহতের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন।

২৭ মার্চ বিকেল তিনটার দিকে যুবলীগকর্মী মহিউদ্দিনের মাথা, বুক, হাত-পাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে নৃশংসভাবে খুন করা হয়। পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত দুইজনকে গ্রেফতার করেছে।

যুবলীগ কর্মী মহিউদ্দিন খুনের মামলায় তানভীর হোসেন বাপ্পী ও মো. মুছা নামে দুই আসামিকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম মাসুদ পারভেজ শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

এছাড়া পুলিশ দুই আসামির ১০ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করলে আদালত আগামি ২৯ মার্চ শুনানির দিন ধার্য করেছেন।

কারাগারে পাঠানো বাপ্পী মামলার অন্যতম আসামি হাজী ইকবালের জামাতা ইপিজেড থানার দক্ষিণ হালিশহর ১ নাম্বার নেভী গেইট এলাকার নিজাম উদ্দিনের ছেলে এবং মুছা হালিশহর মেহের আফজল উচ্চ বিদ্যালয়ের কর্মচারী।

চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (প্রসিকিউশন) নির্মলেন্দু বিকাশ চক্রবর্তী বলেন, ‘মহিউদ্দিন হত্যা মামলার দুই আসামিকে পুলিশ গ্রেফতার করে আদালতে পাঠালে তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় আদালত।

পুলিশ রিমান্ড আবেদন করলে তা ২৯ মার্চ শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছে আদালত।’

(জেজে/এসপি/মার্চ ২৮, ২০১৮)