নাগরপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি : টাঙ্গাইল জেলার সর্বদক্ষিণে চরঞ্চালখ্যাত নাগরপুর উপজেলা। কৃষিতে এ উপজেলার অবদান অনস্বীকার্য। এক সময় এ অঞ্চল পাট ও ধান চাষের জন্য বিখ্যাত ছিল। এখন সময় পাল্টিয়েছে। এ অঞ্চলের কৃষকরা অধিক মুনাফা লাভের আশায় ধান, পাট, গমের পাশাপাশি সবজি উৎপাদনের দিকে ঝুকছে। 

বর্তমানে টমেটো উৎপাদনে ব্যাপক সাড়া পড়েছে সমগ্র উপজেলায়। টমেটোর পাশাপাশি বেগুন, কুমড়া. শশা, ফুলকপি, বাধাঁকপি, লাউসহ নানা রকমের শীত ও গ্রীষ্মকালিন সবজির চাষ করছেন নাগরপুর উপজেলার চাষীরা।

সবজি ক্ষেতে পোকার আক্রমন ঠেকাতে কীটনাশকের ব্যবহার কমিয়ে সেক্সফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার করতে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করছে উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর। উপজেলা কৃষি

অফিস সূত্রে জানা যায়, সবজি ক্ষেতে বিভিন্ন ধরনের পোকা আক্রমন করে থাকে। সবজির ক্ষতিকর পোকা হচ্ছে কান্ড ও ডগা ছিদ্রকারী পোকা। কান্ড ও ডগা ছিদ্রকারী পোকার আক্রমন ঠেকাতে কৃষকরা তাদের সবজি ক্ষেতে বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক স্প্রে করে থাকেন। কীটনাশক ব্যবহার একদিকে যেমন ব্যায় বহুল অন্যদিকে ঝুকিপূর্ণ। তার উপর কীটনাশক প্রয়োগে কান্ড ও ডগা ছিদ্রকারী পোকা সমূলে ধ্বংশ হয় না।

আর এ বিষয়গুলো বিবেচনা করে কীটনাশক ব্যবহার কমিয়ে নিরাপদ সবজি উৎপাদনে সবজি ক্ষেতেসেক্সফেরোমনফাঁদ এর ব্যবহার বাড়াতে উপজেলার প্রতিটি ব্লকে কৃষকদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা মো. ইমরান হাসান জানান, সবজি ক্ষেতের সবচেয়ে ক্ষতিকর পোকা হল কান্ড ও ডগা ছিদ্রকারী পোকা। যা কীটনাশক ব্যবহার করলে সমূলে ধ্বংশ হয় না। তাই নিরাপদ ও বিষমুক্ত সবজি উৎপাদন করতে হলেসেক্সফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার করতে হবে। এ ফাঁদ তৈরী করা অনেক সহজ। একটি প্লাষ্টিকের কৌটায় সামান্য কেরোসিন তেল, সাবান, পানি ও একটি লেয়ার থাকবে। লেয়ারে সামান্য কেমিক্যাল মিশিয়ে দিতে হবে যাতে করে পুরুষ পোকা আকৃষ্ট হয়ে সে লেয়ারের উপর বসে পোকা মারা যায়। পুরুষ পোকার মৃত্যু হলে আর তাদের বংশ বিস্তার সম্ভব হয় না।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বিএম রাশেদুল আলম বলেন, আমরা এ পর্যন্ত উপজেলার ৭ হেক্টর জমির সবজি ক্ষেতেসেক্সফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার নিশ্চিত করতে পেরেছি। এর উপকারীতা দেখে অনেক কৃষক এর প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠছে। ইতি মধ্যে কৃষকদের মাঝেসেক্সফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার করার আগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে বলে তিনি জানান।

(আরএসআর/এসপি/মার্চ ২৮, ২০১৮)