লোহাগড়া (নড়াইল) প্রতিনিধি : নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার লাহুড়িয়া ইউপির খান ব্রিকসের মালিক খান কামরুজ্জামান কোমরকে (৫০) গুলি করে হত্যার চেষ্টা চালানো হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে নড়াইল সদর হাসপাতালে এবং পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় শুক্রবার সকালে ঢাকা বক্ষব্যাধি হাসপাতালে  ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে লাহুড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। কামরুজ্জামান কোমর লাহুড়িয়ার শেখপাড়া গ্রামের আলেক খানের ছেলে।

আহতের স্ত্রী সালমা বেগম সাংবাদিকদের বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাত ১১টার পর মোবাইল ফোনে তাকে দ্রুত বাড়িতে আসতে বলি। তখন তিনি জানান যে, তার সাথে একই গ্রামের এমজেবি ইটভাটার মালিক মিল্টন জমাদ্দারের সাথে ঝামেলা হচ্ছে। এই বলে তিনি ফোন কেটে দেয়। এরপর মোটর সাইকেল যোগে লাহুড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে রাত সাড়ে ১১টার দিকে মিল্টন জমাদ্দারের নেতৃত্বে একদল দুবৃর্ত্ত তাকে গুলি করে।

গুলিটি তার পিঠের ডানপাশে বিদ্ধ হয়। এসময় আমার স্বামী গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মোটর সাইকেল চালিয়ে বাড়ির সামনে এসে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। আমি বাড়ির বাইরে এসে রক্তাক্ত অবস্থায় আমার স্বামীকে দেখতে পাই এবং পরে প্রতিবেশিদের সহযোগিতায় আহত অবস্থায় তাকে নড়াইল সদর হাপসাতালে নিয়ে আসি’।

আহতের নিকট আত্বীয় শিহাব খান অভিযোগ করে গণমাধ্যমকে জানান, ইটভাটার ব্যবসা নিয়ে একই গ্রামের মিল্টন জমাদ্দারের সাথে দ্বন্ধের কারনে মিল্টন জমাদ্দারসহ তার সহযোগিরা গুলি করে তাকে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে।

লাহুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ দাউদ হোসেন বলেন, ‘গুলিবিদ্ধ খান কামরুজ্জামান কোমর একজন ইটভাটার মালিক। তাঁর সাথে একই গ্রামের মিল্টন জমাদ্দারের ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব থাকতে পারে। তা ছাড়া, বিগত ইউপি নির্বাচনের রেশ ধরেও গুলি করে হত্যার চেষ্টা চালানো হতে পারে’। অভিযুক্ত মিল্টন জমাদ্দারের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ শফিকুল ইসলাম শুক্রবার দুপুরে জানান, ব্যবসায়িক দ্বন্ধের জের ধরে এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে এবং ঘটনার সাথে জড়িতদের যত দ্রুত সম্ভব আটকের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

(ওএস/এসপি/মার্চ ৩০, ২০১৮)