গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে যাত্রীবাহী নৈশকোচ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে আটজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২৩ জন। আহতদের ফরিদপুর ও ভাঙ্গা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

রবিবার ভোররাত সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার বরইতলা নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত আটজনের মধ্যে তিনজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। এরা হলেন- বরগুনা জেলার সদর উপজেলার আমতলী গ্রামের হাসান মিয়া (২৫), বরিশালের অসীম মাঝি (৪০) ও বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার বাগদা গ্রামের মাখন বিশ্বাসের ছেলে দিপন বিশ্বাস (২২)।। তবে বাকি নিহতদের নাম-পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ।

মুকসুদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তফা কামাল পাশা জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা বরিশালগামী সুগন্ধা পরিবহনের একটি নৈশকোচ মুকসুদপুর উপজেলার বরইতলা পৌঁছার পর চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে বাস রাস্তার পাশে খাদে পড়ে যায়। এতে বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে গেলে ঘটনাস্থলেই বাসের আটযাত্রী নিহত হন ও কমপক্ষে ২৩ যাত্রী আহত হন।

পরে খবর পেয়ে পুলিশ এবং গোপালগঞ্জ, ভাঙ্গা ও মুকসুদপুরের ফায়ার সার্ভিসের চারটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে হতাহতদের উদ্ধার করে। আহতদেরকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ ও ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।

সকাল ৭টার দিকে উদ্ধার কাজ সমাপ্ত করা হয়েছে। দুঘর্টনাকলিত বাসটি থেকে আর কোনো মৃতদেহ পাওয়া যায়নি। তবে বাসচালক ও হেলপারকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।

ভাঙ্গা হাইওয়ে থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এজাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধার কাজ শুরু করি। মোট ছয়টি লাশ উদ্ধার করে ভাঙ্গা হাইওয়ে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। হাসপাতালে নেওয়ার পর আরো দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে তিনজনের পরিচয় পেয়েছি। বাকি লাশের পরিচয় পাওয়া গেলে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’

(ওএস/এএস/এপ্রিল ০১, ২০১৮)