সঞ্জিব দাস, গলাচিপা (পটুয়াখালী) : পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার গোলখালী  ইউনিয়নে নতুন আউশ ধানের মুকুলের মিষ্টি গন্ধে প্রকৃতি সৌন্দ্যর্য বড়িয়ে দিলেও মরা খালে পানি যাওয়া আসা না থাকায় দুঃশ্চিন্তায় প্রান্তিক কৃষকরা।

সরজমিনে জানা যায়, ২ নম্বর ওয়ার্ডের বড়গাবুয়ার কৃষক গোষ্ঠী জানান, বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানি জমে থাকায় ধানের বীজ তেমন করা যায় না। শুকনো মৌসুমে অনেক দূর থেকে ডিজেল চালিত মেশিনের মাধ্যমে পাইপ দিয়ে চাষাবাদ করছি বলে জানিয়েছেন প্রান্তিক কৃষক আকর হাওলার।

তিনি জানান, ১৩০শতাংশ জমিতে বিআর ২৯/৪৭ রোপন করেছি ধানের মুকুল'ও আল্লাহ্'র রহমতে ভালো'ই হয়েছে। একই স্থানের চানঁ মিয়া গাজী ১০০ শতাংশ জমিতে বিআর ২৮ ব্লোক করায়, পাশাপাশি মোঃ আলম গাজী ১০০ শতাংশ, মোঃ বেল্লাল হাওলাদার ১২০ শতাংশ জমিতে বিআর ২৮ এবং ২৯, মোঃ জালাল আকন ৮০ শতাংশে বিআর ২৮/৩৯ আব্দুল খালেক হাওলাদর সারে ৭ একর জমিতে আগাম আউষ মৌসুমী বিআর ২৯/৪৭ বীজ রোপন করেছেন বলে দৈনিক নবচেতনা গলাচিপা উপজেলা প্রতিনিধি সঞ্জিব দাসকে জানান।

তারা আরো জানান, গ্রামের সরকারী নির্ধারিত পুরাতন মরা কপালী কান্দী খাল টি খনন করে, পানি যাওয়া আসা হলে কয়েক শত কৃষকের আবাদি ফসল আরো অনেকাংশ বেরে যেতো।

এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ নাসির উদ্দিন হাওলাদার বলেন, বর্তমান সরকারের কৃষি বাণিজ্যে নানান উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ করছেন, খাল খননের বিষয়ে অফিসিয়াল কার্যক্রম চলছে, আশা করি শিঘ্রই এটার বাস্তবায়নে রুপ নেবে।

অন্যদিকে উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল মন্নানা এর সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব না হওয়ায় বর্তমান ইউনিয়নের কত হেক্টোর জমিতে ব্লোগ করা হয়েছে তাহা যানা সম্ভোব হয়নি। কপালী কান্দা খালটি খনন করে জমিতে ফসলী আবাদি বারিয়ে প্রান্তিক কৃষকের দুঃশ্চিন্তা থেকে মুক্ত করবেন, এটাই স্থানীয় জনসাধারণের প্রত্যাশা।

(এসডি/এসপি/এপ্রিল ০১, ২০১৮)