নবীগঞ্জ প্রতিনিধি : হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে কৃমি সপ্তাহ উদ্বোধনকালে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট আলমগীর চৌধুরী বলেছেন, পুষ্টিহীনতা, রক্তস্বল্পতা সৃষ্টি করে কৃমি। তবে কৃমি নাশক ট্যাবলেট খালি পেটে ৫ বছরের কম বয়সী শিশুকে খাওয়ানো যাবে না। এ বিষয়টি সব সময় খেয়ালে রাখতে হবে। 

তিনি বলেন, কৃমি নিয়ে মানুষের মধ্যে এখনও এক ধরনের আশঙ্কা কাজ করে। শিশুদের কৃমিনাশক যেসব ওষুধ খাওয়ানো হচ্ছে তা মানসম্মত। কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়ার পর কোনো উপসর্গ দেখা দিলে আতঙ্কিত না হয়ে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

সোমবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের আয়োজনে আর্দশ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কৃমি নিয়ন্ত্রন সপ্তাহ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।

এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাজমা বেগম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল জাহান চৌধুরী, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডাঃ আব্দুস সামাদ, মহিলা আওয়ামলীগের সভাপতি দিলারা হোসেন, সাংবাদিক সলিল বরণ দাশ, শিক্ষক আলী আমজদ মিলন, দৈনিক হবিগঞ্জ সময়ের বার্তা সম্পাদক মতিউর রহমান মুন্না, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি ইকবাল আহমেদ বেলাল, স্বাস্থ্য পরিদর্শক ইনচার্জ গোপেশ চন্দ্র দাশ প্রমুখ।

সারা দেশের ন্যায় নবীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পর্যায়ক্রমে প্রায় ৯০ হাজার কৃমিনাশক ওষুধ সরবরাহ করা হবে। গতকাল আদর্শ বিদ্যালয়ের ৫শত ৫৮ জন শিক্ষার্থীদের ওষুধ খাওয়ানো হয়।


(এমআরএম/এসপি/এপ্রিল ০২, ২০১৮)