রঞ্জন কৃষ্ণ পন্ডিত, টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইলের কালিহাতী আর এস পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহন করেছে আল আমিন। সে মাই স্কুলসহ দুইটি এনড্রয়েড অ্যাপ তৈরি করে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। আল আমিন কালিহাতী উপজেলার কালিহাতী গ্রামের নায়েব আলী ছেলে ।

ছোট বেলা থেকে প্রযুক্তির প্রতি ছিল তার অধির আগ্রহ। মোবাইলের বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহার করতে করতেই তার মাথায় আসে স্কুলের বিভিন্ন জটিল কাজ গুলোকে সহজ করে একটি অ্যাপ তৈরির আইডিয়া। এরপর থেকে নিয়মিত টুকটাক গবেষণা শুরু করে। অবশেষে আল আমিন “মাই স্কুল” নামে স্কুল সম্পর্কিত একটি অ্যাপ তৈরী করে।

যদি কোন কারণে শিক্ষার্থীরা স্কুলে না আসতে পারে তাহলে অভিভাবকদের মাই স্কুল অ্যাপ এ মেসেজ দিতে হবে এবং কারণ দেখাতে হবে। শিক্ষক যখন ক্লাসে নাম প্রেজেন্ট করবে তখন যেসব শিক্ষার্থীরা অনুপস্থিত থাকবে শিক্ষক তাদের অভিভাবকদের কাছে মেসেজ দিবে। আর এই যদি নিয়ম হয় তাহলে শিক্ষার গুনগতমান বেড়ে যাবে এবং স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতি বাড়বে। এছাড়াও এই অ্যাপটি ব্যবহারের মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীরা অসামাজিক কাজে লিপ্ত হতে পারবে না। তারা থাকবে শিক্ষক এবং অভিভাবকের নজরে।

এটি একটি অ্যান্ড্রয়েড অ্যপ্লিকেশন যার মাধ্যমে একটি স্কুল বা যেকোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তাদের আভ্যন্তরীণ যোগাযোগ রক্ষা করতে পারবে। এই অ্যপ্লিকেশন ব্যবহার করার ফলে একটি স্কুল বা যেকোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে হাতের মুঠোয় আনা সম্ভব হবে।

এটি ব্যবহার করে ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক ও অভিভাবক একে অপরের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করতে পারবে এবং খুব সহজেই ঘরে বসেই স্কুলের সকল তথ্য জানতে পারবে। ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের লেখাপড়ার বিষয়ে যেকোন ধরণের সমস্যার সমাধান করতে পারবে তারা নিজেরাই। এছাড়া সকল প্রকার যোগাযোগ, তথ্য দেয়া নেয়াসহ একটি স্কুলের সকল প্রকার কার্যকলাপ পরিচালনা করা যাবে এই অ্যাপ্লিকেশন দিয়ে।

এই অ্যাপটি এনড্রয়েড চালিত যেকোন ডিভাইসে সমর্থন করে। বিশেষ করে আমাদের অতি পরিচিত এনড্রয়েড চালিত মোবাইলফোন, ট্যাবলেট, মিনিপিসি, ফ্যাবলেট, এনড্রয়েড টিভি ও অন্যান্য এনড্রয়েড সমর্থন করে এ জাতীয় ডিভাইস বা যন্ত্র দিয়ে এই অ্যাপটি ব্যবহার করা যাবে।

বিশেষ করে মাই স্কুল এই অ্যাপটিতে রয়েছে ৭টি বিভাগ বা ৭টি ফোরাম। ব্যবহারকারীদের জন্য এই ৭টি ফোরাম হলো-মাই স্কুল, টিচার, স্টুডেন্ট, প্যারেন্টস,অ্যাবাউট স্কুল,টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশনস, নিউ আপডেট।
এ ব্যাপারে আল আমিনের সাথে কথা বলে জানাযায়, মাই স্কুল এনড্রয়েড অ্যাপ ছাড়াও ইতিমধ্যে ডিজিটাল এ্যাটেন্ডেস নামের আরো একটি অ্যাপ তৈরী করেছে। যার কার্যক্রম বেশ কিছু স্কুলে চলমান রয়েছে। সে আরো বলে, বর্তমানে রোবট তৈরীর কাজ চলমান রয়েছে। যা মানুষের সাথে কথা বলবে, ট্রাফিক পুলিশের কাজ করবে এমনকি শিক্ষা ক্ষেত্রে ক্লাস রুমে শিক্ষকের ভূমিকাও পালন করবে।

(আরকেপি/এসপি/এপ্রিল ০৩, ২০১৮)