ছাদেকুল ইসলাম রুবেল, গাইবান্ধা : আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে দামও বেশি পাওয়ায় চাষীদের মুখে মধুর হাসি। তরমুজ চাষ করে সেই আসায় বুক বেধে আছেন চাষীরা।

বুধবার তরমুজ চাষী কৃষক আবুলের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ‘প্রতিবছরই তরমুজ চাষ করি। এবার বৃষ্টি কম হয়েছে। তরমুজ চাষের জন্য আবহাওয়া অনুকূলে ছিল। তাই ফলনও ভাল পেয়েছি। এখন শেষ পর্যন্ত দামটা ঠিকমত পেলেই হয়। এজন্য নিজেই ক্ষেত থেকে তরমুজ নিয়ে পলাশবাড়ীসহ বিভিন্ন জেলায় তরমুজ সরবারাহ করছি।

তরমুজ চাষী শওকাত এর কাছে প্রশ্ন কত টাকা হলে বিক্রি করবেন জিজ্ঞাসা করলে মুচকি হেঁসে তিনি বলেন, ‘আশার তো আর শেষ নেই। প্রতিপিস তরমুজ ৩০০ থেকে সাড়ে ৩০০ টাকা আশা করি। তা তো আর পাব না। বাজারে যে দর ওঠবে তাই পাব। ঢাকার বাজারে যে তরমুজ ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা বিক্রি করে আমরা তো তার অর্ধেক দামও পাই না। এত দাম চাইও না তবে ন্যায্য দাম পেলেই আমরা খুশি’।

ছলেমান বলেন, ‘এ বছর দুইকানি (২০ বিঘা) জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলনও ভাল হয়েছে। প্রতি গাছে একটি তরমুজ পাওয়া যায়। তাই আট হাজার তরমুজ পাব বলে আশা করছি। প্রথমধাপে দুই হাজার এনেছি। আরও ৬ হাজার বিক্রি করতে পারব। যা এ মাসের (এপ্রিল) মধ্যেই বিক্রি করতে হবে। তরমুজ বেশি পাওয়া যায় বৈশাখ মাসে। তবে চৈত্র থেকে জ্যৈষ্ঠের মাঝামাঝি পর্যন্ত তরমুজ ক্ষেত থেকে উঠানো হয়’।

পলাশবাড়ী এ তরমুজ চাষী আরও বলেন, ‘এখন সব কিছুর খরচ বেড়েছে। দ্ইুকানি জমিতে তরমুজ চাষে এবার ২ লাখ ২৭ হাজার খরচ হয়েছে। চার ভাগের এক ভাগ বিক্রি করতে এনেছি। প্রতিটি তরমুজ ঢাকায় আনতে ১৬ থেকে ১৭ টাকা খরচ হয়েছে। দাম না পেলে আমরা বাচঁবো কীভাবে’।

(এসআইআর/এসপি/এপ্রিল ০৪, ২০১৮)