হবিগঞ্জ প্রতিনিধি : চুনারুঘাট উপজেলার বাল্লা সীমান্তবর্তী ইছালিয়া ছড়ার পাশের ভুমি থেকে অবৈধভাবে বালুু উত্তোলন করায় অভিযান চালিয়ে ১১টি ড্রেজার মেশিন জব্দ করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। পরে জব্দকৃত মেশিন আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। এ সময় প্রায় ২৫ হাজার ঘনফুট বালু জব্দ করা হয়। মঙ্গলবার বিকেলে অভিযান পরিচালনা করেন চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্র্রেট কাইজার মোহাম্মদ ফারাবী। 

এ ব্যাপারে ইউএনও কাইজার মোহাম্মদ ফারাবী উত্তরাধিকার একাত্তর নিউজকে জানান, প্রশাসনের উপস্থিতি দেখতে পেয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীরা পালিয়ে যায়। ধ্বংসকৃত ড্রেজার মেশিনের আনুমানিক মূল্য হবে প্রায় ৮ লাখ টাকা। এছাড়া জব্দকৃত বালুর মূল্য প্রায় ৩ লাখ টাকা। এই বালু পরবর্তীতে নিলামে বিক্রি করা হবে বলে জানান তিনি।

তিনি আরও জানান, অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিষয়ে স্থানীয়দের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন ভূইয়া কর্পোরেশনের প্রোপ্রাইটর সুজাতুল হক ভূইয়া ও রুবেল আহমেদ নামে দুই বালু ব্যবসায়ী দীর্ঘদিন যাবত ব্যক্তি মালিকানাধীন ভূমি থেকে বালু উত্তোলন করছেন। এমনকি স্থানীয়রা এর প্রতিবাদ করলে উচ্চ আদালতে মামলা করে হয়রানী করা হবে বলে হুমকি দেয়া হয়। তাই ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করেন না।

এ ব্যাপারে ভূইয়া কর্পোরেশনের স্বত্ত্বাধিকারী সুজাতুল হক ভূইয়া ও রুবেল আহমেদ জানান, ২০২২ বাংলায় হবিগঞ্জের ডিসি অফিসের প্রজ্ঞাপনের ভিত্তিতে মুড়িছড়া নো-ম্যান্স ল্যান্ড এরিয়া এবং দুধপাতিল পূর্ব ছড়া ও উসমান দুই ছড়ার সংযোগ স্থল থেকে ছনখলা পর্যন্ত মোট ৩৯ একর ৩৬০ শতক ছড়া ২০২৩ ও ২৪ বাংলা সনের জন্য মেসার্স ভূইয়া কর্পোরেশন সর্বোচ্চ দামে লীজ পায়।

এছাড়া বাংলাদেশ খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদিতও হয়। কিন্তু পরিবেশবাদী বেলা কর্তৃপক্ষ মৌলভীবাজার জেলার চা-বাগান থেকে বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে একটি রিটের কারণে মন্ত্রণালয় বালু মহালটি স্থগিত করে। পরবর্তীতের মেসার্স ভূইয়া কর্পোরেশন হাইকোর্টে রিট করে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করেন। তিনি আরও জানান ৫৯ লাখ ১০ হাজার ২ টাকা সরকারের কোষাগারে জমা রয়েছে। কিন্তু মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কোন লীজ বুঝিয়ে দেয়া হয়নি। ভূইয়া কর্পোরেশনের দাবি তারা লিজ নিয়ে এবং সরকারের রাজস্ব দিয়েই তাদের নিজস্ব ভূমি থেকে বালু উত্তোলন করছেন।


(এমইউএ/এসপি/এপ্রিল ০৪, ২০১৮