খুলনা প্রতিনিধি : খুলনায় রাষ্ট্রয়ত্ব পাটকলগুলোর প্রায় ৫০ হাজার শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তা প্রতীকি অনশন শুরু করেছেন।

বুধবার সকাল ১০টায় খালিশপুরের ক্রিসেন্ট, প্লাটিনাম, খালিশপুর ও দৌলতপুর জুট মিল, দিঘলিয়ার স্টার, আটরা শিল্পা এলাকার আলীম ও ইস্টার্ন, নওয়াপাড়া শিল্প এলাকার জেজেআই ও কার্পেটিং জুট মিলের প্রশাসনিক কার্যালয়ের সামনে এ অনশন শুরু করেছেন।
বাংলাদেশ জুট মিল করপোরেশনকে (বিজেএমসি) হোল্ডিং কোম্পানিতে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত বাতিলসহ ৯ দফা দাবিতে বাংলাদেশ রাষ্ট্রয়াত্ব পাটকল সিবিএ, নন-সিবিএ সমন্বয় পরিষদ খুলনা-যশোর আঞ্চলিক কমিটির উদ্যোগে এ অনশন পালিত হচ্ছে। জানা যায়, অনশন চলবে দুপুর ২টা পর্যন্ত।
বুধবার সকালে প্লাটিনাম জুট মিলের সিবিএ সভাপতি শাহানা শারমিন বলেন, সকাল ১০টা থেকে নিজ নিজ মিলের প্রশাসনিক কার্যালয়ের সামনে শুরু হওয়া প্রতীকি অনশন কর্মসূচি চলবে দুপুর ২টা পর্যন্ত।
তিনি দাবি করেন এ অনশনে প্রায় ৫০ হাজার শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তা অংশ নিয়েছেন।
অনশন চলাকালে পৃথক পৃথকভাবে শ্রমিক সমাবেশের আয়োজন করছে শ্রমিক নেতারা।
এ সময় শ্রমিক নেতারা বলেন, বিজেএমসিকে হোল্ডিং ও এর অধীনস্থ মিলগুলোকে সাবসিডারি কোম্পানিতে রূপান্তর করা হলে এসব মিলের অবস্থা খুলনার বর্তমান বেসরকারি এজ্যাক্স, সোনালী, আলিম, সাগর জুট মিল ও দাদা ম্যাচের ভাগ্যবরণ করবে।
এতে প্রায় দুই লাখ শ্রমিক-কর্মচারী, কর্মকর্তা বেকার হয়ে পড়বে। এছাড়া পাটকল নির্ভর হাজার হাজার প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়ে যাবে।
অথচ মিলগুলোতে লোকসানের যে অজুহাত দেওয়া হচ্ছে তা সঠিক নয়, কোটি কোটি টাকার পণ্য এসব মিলে মজুদ থাকলেও সরকার তা বিক্রিতে কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না। এমনকি আভ্যন্তরীণ বাজার সৃষ্টিরও তৎপরতা নেই।
নেতারা সরকারে উদ্দেশে বলেন, ২০১০ সালের জুটগুডস ইউস ম্যান্ডেটরি অ্যাক্ট শতভাগ বাস্তবায়ন ও নিশ্চিত করুন। তাহলে আর লাখ লাখ শ্রমিকের পেটে লাথি মারতে হবে না। শ্রমিক নেতারা তাদের দাবিগুলো মেনে নেওয়ার আহ্বান জানান।
(ওএস/এএস/জুলাই ০৯, ২০১৪)