শরীয়তপুর প্রতিনিধি : ১২ মার্চ নেপালের কাঠমুন্ডুতে ইউ এস-বাংলা বিমানের মর্মান্তিক দূর্ঘটনায় নিহত ২৬ বাংলাদেশীর মধ্যে শরীয়তপুরের ডামুড্যার সন্তান ফয়সাল আহমেদের মরদেহ অপর নিহত ঢাকার বাসিন্দা নাজিয়া আফরিন চৌধুরীর সাথে বদল হয়ে গিয়েছিল। নেপাল থেকেই মরদেহগুলো কফিন বন্দি হয়েছিল। সেখান থেকেই ভুল হয়েছে বলে ধারনা স্বজনদের। ১৯ মার্চ ঢাকা আর্মি স্টেডিয়াম মরদেহ আনার পরে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ওই দিনই নাজিয়া ভেবে ফয়সালকে দাফন করা হয় বনানী কবরস্থানে। আর ২০ মার্চ সকালে ফয়সালের নামে নাজিয়ার দাফন সম্পন্ন হয় দক্ষিন ডামুড্যা গ্রামে ফয়সালের পারিবাকি কবরস্থানে। 

ফয়সালের পরিবার জানায়, ২০ মার্চ জানাজা নামাজের পর কফিন থেকে লাশ বের করে দাফন করার আগ মুহুর্তে দেখা যায় পলিথিনে মোড়ানো মরদেহের গায়ে লেখা নাজিয়া আফরিন চৌধুরীর নাম। বিষয়টি নিয়ে তাৎক্ষনিক জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টির আশংকায় ফয়সালের কবরেই দাফন করা হয় নাজিয়াকে। এরপর উভয় পরিবারের সদস্যরা নিজ নিজ স্বজনের লাশ কবর থেকে তুলে ফেরৎ পেতে আইনের দ্বারস্থ হন।

৪ এপ্রিল বুধবার ঢাকা মূখ্য মহানগর হাকিম আদালত এবং ৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার শরীয়তপুর মূখ্য বিচারিক হাকিম আদালত উভয়ের লাশ কবর থেকে তুলে নিজ নিজ স্থানে পুনঃদাফনের আদেশ প্রদান করেন।

বৃহস্পতিবার রাত ৮ টায় বনানী কবরস্থান থেকে ফয়সালের লাশ তুলে স্বজনরা রওনা হন ডামুড্যার উদ্দেশ্য। রাত সাড়ে ৩ টায় ফয়সালের লাশ ডামুড্যায় পৌছলে ভোর ৪ টায় কবর থেকে তোলা হয় নাজিয়াকে।

শুক্রবার ভোর সাড়ে ৪ টায় ফয়সালকে পুনঃদাফন শেষে একই এ্যাম্বুলেন্সে নাজিয়ার মরদেহ নিয়ে ভোর ৫ টায় নাজিয়া আফরিণ চৌধুরীর ভাই আলী আহাদ চৌধুরী ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন।


(কেএনআই/এসপি/এপ্রিল ০৬, ২০১৮)