হবিগঞ্জ প্রতিনিধি : হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে কিশোরী বিউটি ধর্ষণ ও হত্যা মামলার প্রধান আসামি বাবুল মিয়া ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলামের আদালতে সে জবানবন্দি দেয়।

হবিগঞ্জের আদালত পরিদর্শক মোঃ ওহিদুর রহমান জবানবন্দির বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তবে তিনি এর বেশি কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রবিউল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে বাবুলের জবানবন্দি প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি বলেন, এ বিষয়ে পুলিশ সুপার সাংবাদিকদের ব্রিফিং করবেন।
গত ৩১ মার্চ সিলেটের বিয়ানীবাজার থেকে বাবুলকে গ্রেফতার করেন সিলেট র‌্যাবের অ্যাডিশিনাল এসপি মোঃ মনিরুজ্জামান। পরে ১ এপ্রিল তাকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত বাবুলের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে স্কুলছাত্রী বিউটি আক্তারকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলার প্রধান আসামি বাবুলের শ্বশুর আব্দুল কাদির (৫০), খালা জহুর চাঁন বিবি (৬০) ও খালাত বোন ঝুমা আক্তারকে (২০) জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।

প্রসঙ্গত, ১৭ মার্চ সকাল সাড়ে ১১টায় হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জের পুরাইকলা বাজার সংলগ্ন হাওর থেকে স্কুলছাত্রী বিউটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহে ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল। পরে এ ঘটনায় ওই দিনই বিউটিকে হত্যা ও ধর্ষণের অভিযোগে তার বাবা সায়েদ আলী বাদী হয়ে বাবুল মিয়াসহ দুইজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে শায়েস্তাগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে ২১ মার্চ বাবুলের মা কলম চাঁন ও সন্দেহভাজন হিসেবে একই গ্রামের ইসমাইলকে আটক করে পুলিশ।

তারও আগে ০১ মার্চ বিউটির বাবা সায়েদ আলী বাদী হয়ে বাবুল ও তার মা স্থানীয় ইউপি সদস্য কলম চাঁনের বিরুদ্ধে হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

চাঞ্চল্যকর এই ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে শায়েস্তাগঞ্জ থানার এসআই জাকির হোসেনকে হবিগঞ্জ পুলিশ লাইনে ক্লোজড করেন এসপি বিধান ত্রিপুরা।

(এমইউএ/এসপি/এপ্রিল ০৬, ২০১৮)