হবিগঞ্জ প্রতিনিধি : হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে আলোচিত কিশোরী বিউটি আক্তার হত্যার ঘটনায় আদালতে পিতা সায়েদ আলী চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তিনি নিজেই অকপটে স্বীকার করে নিলেন মেয়ে হত্যার চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। হত্যার রাতে নিজেই নানার বাড়ি থেকে নিয়ে এসে বিউটিকে তুলে দেন খুনিদের হাতে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। একই দিন বিকেলে হত্যাকাণ্ডের অন্যতম হোতা ময়না মিয়ার স্ত্রী আছমা আক্তার সাক্ষি হিসেবে আদালতে জবানবন্দি দেন।

শনিবার সকাল থেকে প্রায় ৫ ঘন্টাব্যাপী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলামের আদালতে তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। দীর্ঘ সময়ের এ জবানবন্দিতে তিনি জানান, হত্যার আদ্যোপান্ত সম্পর্কে আদালতে বর্ণনা করেন।

এর আগে শুক্রবার রাতে বাবুল মিয়া ও ময়না মিয়া আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এদিন নিহত বিউটির নানী ফাতেমা বেগম সাক্ষি হিসেবে আদালতে জবানবন্দি প্রদান করেছেন। জবানবন্দিতে ময়না মিয়া হত্যাকান্ডের কথা এবং বাবুল ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট ৪ জনকে গ্রেফতার দেখিয়েছে পুলিশ। উল্লেখ্য, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার ব্রাহ্মণডোরা গ্রামের সায়েদ আলীর মেয়ে বিউটি আক্তারের মরদেহ ১৭ মার্চ হাওর থেকে উদ্ধার করা হয়।

(এমইউ/এসপি/এপ্রিল ০৭, ২০১৮)