লাকসাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি : কুমিল্লার লাকসামে আন্তঃজেলা হোন্ডা চোরাই চক্রের ৪ সদস্যকে ১১টি মোটর সাইকেলসহ আটক করেছে পুলিশ। সোমবার বিকেলে আটককৃতদের কুমিল্লা আদালতে প্রেরন করা হয়েছে। 

এ ঘটনায় ওই দিন দুপুরে লাকসাম সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ নাজমুল হাসান প্রেস ব্রিফিং এর মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

আটককৃতরা হলো- নাঙ্গলকোটের ছোট বেরলা গ্রামের আবদুল আজিজ মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলাম (২৭), নোয়াখালী জেলার সেনবাগ থানার জিরুয়া গ্রামের আবদুল হাইর ছেলে রাসেল (২৫), একই উপজেলার অশ্বদিয়া গ্রামের নাসির আহমেদের ছেলে আনোয়ার হোসেন সুজন (৩৫), কানুচর গ্রামের মৃত শাহ আলমের ছেলে সালাহউদ্দিন (২২)।

লাকসাম থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার বিকেলে পৌরশহরের পশ্চিমগাঁও প্রফেসার কলোনী এলাকা থেকে সাইফুল ইসলাম (২৭)কে একটি হোন্ডা চোরইকালে আটক করে স্থানীয় লোকজন গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোর্পদ্দ করে। এ ঘটনায় মেডিকেল রিপ্রেজেনটেটিভ মোঃ হারুন অর রশিদ বাদী হয়ে লাকসাম থানার একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে আটককৃত সাইফুল ইসলামের স্বীকারোক্তি মতে ওই দিন রাতে লাকসাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মাহফুজের নেতৃত্বে পুলিশের এস.আই বোরহান উদ্দিন ভূঁইয়া, মোবারক হোসেন খান, শেখ মিল্টন রহমান ও এ.এস.আই ফরায়েজুল ইসলাম, সরোয়ার মাহমুদসহ একটি বিশেষ টিম অভিযান চালিয়ে নোয়াখালী জেলার সেনবাগ থেকে মোটর সাইকেল চোর চক্রের মূল হোতা রাসেল, আনোয়ার হোসেন সুজন, সালাউদ্দিনকে আটক করে। আটককৃতদের স্বীকারোক্তি মতে পালসার, ডিসকভার, হিরো গ্লামারসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ১১টি চোরাই মোটর সাইকেল, খুচরা যন্ত্রাংশ, লক ভাঙ্গার যন্ত্রাংশসহ বিপুল পরিমান নাম্বার প্লেট উদ্ধার করে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে লাকসাম থানা পুলিশেনর এসআই বোরহান উদ্দিন ভূইয়া বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

লাকসাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মাহফুজ জানান, এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে লাকসাম থানায় ১৮৬০ সালের এর পেনাল কোডের ৩৭৯ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আটককৃতদের অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে রিমান্ডের আবেদন করা হবে।

(এসএস/এসপি/এপ্রিল ০৯, ২০১৮)