আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সিরিয়ায় কথিত রাসায়নিক হামলার চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করে আসছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট। এর জবাবে তারা যে কোনো সামরিক ব্যবস্থা নিতে পারে। তবে কি ধরণের অভিযান চালানো হবে তা এখনো চূড়ান্ত করেনি দেশটি।

হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র সারাহ স্যান্ডার্স উদ্ধৃত করে বৃটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিনি এক প্রতিবেদনে বলছে, সামরিক অভিযান নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। পশ্চিমা নেতারা সিরিয়ায় সামরিক অভিযানের ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করছে।

বিবিসি বলছে, যুক্তরাষ্ট্র এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে না নিলেও এই ঘটনায় রাশিয়া ও সিরিয়াকে তারা দায়ী মনে করে বলে জানিয়েছেন সারাহ স্যান্ডার্স।

এদিকে এক টুইট বার্তায় ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ‘সিরিয়ার দিকে যেকোনও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করার কথা অঙ্গীকার করেছে রাশিয়া। প্রস্তুত থাকো। সিরিয়ার দিকে ধেয়ে আসছে মিসাইল।’

বৃহস্পতিবার এই বিষয়ে একটি বৈঠকের কথা রয়েছে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের। এছাড়া একই বিষয়ে আলোচলা করতে মন্ত্রিসভার বৈঠক ডেকেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মেও।

গত শনিবার (৭ মার্চ) সিরিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত শহর দুমাতে রাসায়নিক হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। ওই হামলার জন্য রাশিয়ার মিত্র সিরিয়ার বাসার আল আল সরকারকে দায়ী করে যুক্তরাষ্ট্র। তবে রাশিয়া ও সিরিয়া এজন্য বিদ্রোহীদের দায়ী করেছে।

সিরিয়ায় রাসায়নিক হামলা তদন্তের প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে একে অপরের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। হামলার অভিযোগ তদন্তে নিরাপত্তা পরিষদে নতুন একটি বিশেষজ্ঞ প্যানেল গঠনের প্রস্তাব আনে উভয়পক্ষই। তবে উভয়েই তাদের বিপরীত পক্ষের প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে।

ট্রাম্পের কূটচালে জড়াবে না রাশিয়া

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের টুইটারে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার হুমকির জবাবে রাশিয়া টুইটার কূটনীতিতে জড়াবে না বলে জানিয়েছে। রুশ প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এ কথা বলেছেন বলে রুশ বার্তা সংস্থা ইন্টারফেক্সে’র বরাত দিয়ে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম হারেৎজ এ খবর জানিয়েছে।

দিমিত্রি পেসকভ জানান, সিরিয়ার পরিস্থিতিতে উসকানি নয় দায়িত্বশীলতার সঙ্গে মোকাবিলা করতে হবে। আমরা টুইটার কূটনীতিতে জড়াব না। আমরা বিশ্বাস রাখি যে, ভঙ্গুর পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে এমন পদক্ষেপ না নেওয়া জরুরি।

(ওএস/এসপি/এপ্রিল ১২, ২০১৮)