রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি : রায়পুর উপজেলার এমএম লুধুয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। 

শুক্রবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে লুধুয়া এলাকার একটি অফিসের সংবাদ সম্মেলন করেন বিদ্যালয়ের নির্বাচিত অভিভাবক চারজন সদস্য। আর আগে তাঁরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা না দেওয়ায় বিদ্যালয়ের শিক্ষক, অভিভাবক ও এলাকাবাসীর মাঝে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য সদস্য নজরুল ইসলাম সরকার বলেন, মঙ্গলবার বিকালে বিদ্যালয়ের নির্বাচিত অভিভাবক সদস্যদের ভোটে সভাপতি নির্বাচনের জন্য সবাইকে নিয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয়ে বৈঠক করা হয়। ওই বৈঠকে হঠাৎ করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মামুনুর রশিদের নেতৃত্বে সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী শিক্ষারা হাজির হয়ে আমাদের ওপর মানুষিক চাপ সৃষ্টি করে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে কেরোয়া ইউনিয়নের লুধুয়া গ্রামের লুধুয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে পরিচালনা কমিটির সভাপতি হিসেবে ঘোষনা সাইদুল বাকিন ভূঁইয়াকে।

এসময় সদস্যদের কাছ থেকে জোর করে স্বাক্ষর নিয়ে তাকে সভাপতি বানানো হয়। পরে জোর করে সাদা কাগজে দস্তখত করে নিয়ে যান। আমরা সকল সদস্য তাৎক্ষণিক নির্বাচনের ম্যাধমে সভাপতি নির্বাচনের জন্য দাবি জানালেও তাঁরা আমাদের কথা শুনেননি। বিষয়টি নিয়ে আমরা ইউএনও কাছে লিখিত অভিযোগ দিলেও এখন কোন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না বলে তিনি জানান।

এছাড়া তিনি আরও জানান, সভাপতি পদে নুর রহমান ভূঁইয়া ও মেজবা উল করিম ভূইয়া প্রার্থী ছিলেন। বাকিন এই নির্বাচনে কোন প্রার্থীই ছিলেন না। তাই আপনাদের মাধ্যমে এই নির্বাচন বন্ধ করে মাননীয় শিক্ষা মন্ত্রীসহ সংশিল্ট দপ্তরেসহ সহযোগতি চাই।

তবে সাইদুল বাকিন ভূঁইয়া বলেন, বর্তমানে আমি বিদ্যালয়ের কোন সদস্য ও আগে থেকে সভাপতি পদে প্রার্থী না থাকলেও বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য মমতাজুল করিম ভূ্ইঁয়ার প্রস্তাবনায় ও সকল সদস্যের সমর্থনে আমাকে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে। আমি বিদ্যালয় অবকাঠামো ও শিক্ষকদের উন্নায়নে সবাইকে নিয়ে একসাথে কাজ করবো। কোন সদস্যের কাছ থেকে জোরপূর্বক সম্মতি আদায় করা হয়নি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিল্পী রানী রায় বলেন, রাজনিতিক হস্তক্ষেপে জোপূবক সভাপতি পদে ঘোষনারসহ অনিয়নের বিরুদ্ধে নির্বাচিত নজরুল ইসলাম সরকার ও হুমায়ুন কবির বাহারসহ ৪ জন অভিভাবক সদস্যদের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(এমআরএস/এসপি/এপ্রিল ১৩, ২০১৮)