আন্তর্জাতিক ডেস্ক : এক বছর আগে যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ায় যে মিসাইল হামলা চালিয়েছিল এবারের হামলা তার চেয়ে বেশি তাৎপর্যপূর্ণ। বিবিসির প্রতিরক্ষা বিষয়ক সংবাদদাতা জোনাথন মার্কাস বলেন, প্রেসিডেন্ট ডেনাল্ড ট্রাম্প যেভাবে হুশিয়ার করেছিলেন এবারের হামলা ততটা ব্যাপক হয়নি। নির্দিষ্ট কিছু স্থানে এ হামলা চালানো হয়েছে।

এক বছর আগে যুক্তরাষ্ট্র ৫৯টি টমাহক ক্রুস মিসাইল নিক্ষেপ করেছিল। এবারের হামলায় সেটির চেয়ে দ্বিগুণ মিসাইল নিক্ষেপ করা হয়েছে। হামলা শেষ হয়েছে। কিন্তু এ হামলায় একটি পরিষ্কার বার্তা আছে।

মার্কাস বলেন, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ যদি আবারো রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করে, তাহলে আবারো হামলা চালাবে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, এই হামলার সময় যেন সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য যথেষ্ট নজর দেয়া হয়েছে।

কিন্তু এ ধরনের হামলার মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার থেকে নিবৃত্ত করা যাবে কিনা সেই আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এক বছর আগে যুক্তরাষ্ট্র যে মিসাইল হামলা চালিয়েছে তা প্রেসিডেন্ট আসাদের ব্যবহার বা তার কার্যক্রমে তেমন কোন পরিবর্তন আনতে পারেনি।

এবারের হামলার মাধ্যমে ভিন্ন কিছু হবে কিনা সেই প্রশ্নও উঠেছে। যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন এবং ফ্রান্সের এ হামলার নিন্দা জানিয়েছে সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তারা এই হামলাকে নৃশংস এবং জঘন্য হিসেবে বর্ণনা করেছে।

এদিকে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন এ হামলায় তার দেশের সম্পৃক্ততাকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, বেসামরিক মানুষের উপর রাসায়নিক হামলার বিরুদ্ধে পুরো বিশ্ব একমত।

(ওএস/এসপি/এপ্রিল ১৪, ২০১৮)