হবিগঞ্জ প্রতিনিধি : বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। সারাদেশে জালের মতো বিস্তৃত ছিল অসংখ্য নদনদী। আজ থেকে ৫০/৬০ বছর আগেও প্রায় ১২শ’ ৫০টি নদী ছিল এই দেশে। দিনে দিনে তা কমে এসে প্রায় ৩শ টিতে দাঁড়িয়েছে। সময়ের ধারাবাহিকতায় হারিয়ে গেছে অনেক নদী। আরও অনেক নদী বিলিন প্রায়। নদীর এ ক্রমবিলুপ্তির কারণ প্রকৃতির উপর মানুষের অযাচিত হস্তক্ষেপ। একসময় হবিগঞ্জের উপর দিয়েও প্রবাহিত হত প্রায় ৫০টি নদনদী। এখন এর অর্ধেকও খুঁজে পাওয়া যায় না। মানুষের অদূরদর্শিতার কারণে দিন দিন মৃত্যুর মুখে পতিত হচ্ছে অনেক নদনদী। তাই সময় এসেছে দেশের প্রাণপ্রবাহরূপী এসব নদনদীকে রক্ষায় আন্দোলন গড়ে তোলার। 

আজ ১ বৈশাখ সকালে বাংলা নতুন বছর ১৪২৫কে স্বাগত জানিয়ে হবিগঞ্জের শিরিষতলায় মানব্বন্ধন ও পথসভায় বক্তারা একথা বলেন।

“নববর্ষে বাজে নতুন দিনের গান, নদী বয়ে যাক অবিরত, বাংলাদেশের প্রাণ” স্লোগানকে সামনে রেখে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) হবিগঞ্জ ও খোয়াই রিভার ওয়াটারকিপার আয়োজিত ‘হবিগঞ্জের ভরাট ও দখল হয়ে যাওয়া সকল নদী খনন ও পুনরুদ্ধার এর দাবিতে কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন বাপা হবিগঞ্জের সভাপতি অধ্যাপক মোঃ ইকরামুল ওয়াদুদ।

মূল বক্তব্য রাখেন খোয়াই রিভার ওয়াটারকিপার ও বাপা হবিগঞ্জের সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল। উপস্থিত ছিলেন এবং বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট গবেষক অধ্যাপক জাহান আরা খাতুন, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. জহিরুল হক শাকিল, বিশিষ্ট শিশু চিকিৎসক ডাঃ জমির আলী, চিত্রশিল্পি আলাউদ্দিন আহমেদ, বাপা হবিগঞ্জের সহ-সভাপতি তাহমিনা বেগম গিনি, ক্রীড়া সংগঠক হুমায়ূন খান, সাংবাদিক ফেরদৌস করিম আকঞ্জী, রোটারী ডিস্টিক্ট এর ডেপুটি গর্ভনর ডাঃ এস এস আল-আমিন সুমন, রোটারী ক্লাব অব হবিগঞ্জ খোয়াই এর প্রেসিডেন্ট সৈয়দ আব্দুল বাকি মোঃ ইকবাল, সাংবাদিক প্রদীপ দাস, শাকিল চৌধুরী, রোটারিয়ান দিবাকর পাল, সাংস্কৃতিক সংগঠক ওসমান গনি রুমি, এম রাকিবুল ইসলাম, পরিবেশ কর্মী আমিনুল ইসলাম, সংস্কৃতিকর্মী সীমান্ত দেব তুর্য, ইফতেকার ফাগুণ, জারিন তাসলিম, অপু চৌধুরীসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের সংগঠক ও কর্মীবৃন্দ।

(এমইউএ/এসপি/এপ্রিল ১৪, ২০১৮)