গাজীপুর প্রতিনিধি : গাজীপুরের টঙ্গীতে ঢাকাগামী জামালপুর কমিউটার ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত সংখ্যা বেড়ে পাঁচজন হয়েছে। ঘটনাস্থানে চারজন এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়ার পর আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া একই ঘটনায় আরও অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন।

রবিবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে টঙ্গী রেল স্টেশনের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে। টঙ্গীর স্টেশন মাস্টার জানিয়েছেন, ওই ঘটনায় পর উত্তরবঙ্গের সঙ্গে ঢাকার রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।

আহতদের টঙ্গী হাসপাতাল ছাড়াও ঢামেক হাসপাতাল নেয়া হয়েছে। ঢামেক হাসপাতাল জানান, টঙ্গীতে ওই দুর্ঘটনার পর দুপুর দেড়টার দিকে আহত ছয়জনকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তাদের মধ্যে শাহদাত হোসেন (৩৫) নামের একজনকে মৃত ঘোষণা করেছেন কর্তব্যরত ডাক্তাররা। শাহদাত হোসেনের বাড়ি ময়মনসিংহ।

এছাড়া বাকি পাঁচজন হলেন- বাদল (২৮), সবুজ (৪০), ইসরাফিল (১২), আলমগীর (৩২) এবং ফরিদ (২৮)। ডাক্তারের বরাত দিয়ে ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ বক্সের ইনচার্জ এসআই বাচ্চু মিয়া জানান, আহতদের অবস্থা আশঙ্কামুক্ত।

নিহত বাদলের ভাগনে আমিরুল ইসলাম বলেন, আমরা (বাদলসহ) একই ট্রেনে ঢাকা আসতেছিলাম। তবে টঙ্গীর কাছে ট্রেনটি দুর্ঘটনা কবলিত হলে মামা লাফ দিয়ে নিচে নেমে যান। তখনি তিনি আহত হয়। মামা (বাদল) পেশায় রিকশা চালক ছিলেন।

দুর্ঘটনা সম্পর্কে কমলাপুর রেল স্টেশনের (জিআরপি) ওসি ইয়াসিন ফারুক জানান, ক্রসিংয়ের সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা আতঙ্কে ছাদ থেকে লাফ দিলে ট্রেনে কাটা পড়েন।

টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আতিক জানান, লাইন পরিবর্তনের সময় ঢাকাগামী জামালপুর কমিউটার ট্রেনের পেছন থেকে পাঁচটি বগি লাইনচ্যুত হয়। তখন আতঙ্কিত হয়ে ছাদ থেকে অনেকে লাফিয়ে পড়েন। ১০ থেকে ১৫ জনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

(ওএস/এসপি/এপ্রিল ১৫, ২০১৮)