স্টাফ রিপোর্টার : গাজীপুর এবং খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোট গ্রহণের ৭ দিন আগে নির্বাচনী এলাকায় টহলসহ প্রতিটি কেন্দ্রে সেনাবাহিনী মোতায়েন চায় বিএনপি।

পাশাপাশি গাজীপুরের বর্তমান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদকে প্রত্যাহারসহ সিভিল প্রশাসন ও পুলিশের চিহ্নিত দলবাজ ও বিতর্কিত কর্মকর্তাদের বদলীপূর্বক নিরপেক্ষ পরিবেশ সৃষ্টির দাবি জানিয়েছে দলটি।

আজ (মঙ্গলবার) বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের নেতৃত্বে ৬ সদস্যদের একটি প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে এসব সুনির্দিষ্ট দাবি তুলে ধরা হয়।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা।

এ সময় অন্যান্য কমিশনার ছাড়াও নির্বাচন কমিশন সচিব, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহামুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ এবং সুপ্রিম কোর্ট বারের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘গাজীপুর ও খুলনা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠানের নির্দিষ্ট তারিখের ৭ দিন আগে থেকে নির্বাচনী এলাকায় টহলসহ প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে অবশ্যই সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে’।

তিনি বলেন, ‘গাজীপুর জেলায় বর্তমানে পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত মোহাম্মদ হারুন অর রশীদকে অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। ইতোপূর্বে ২০১৬ সালে গাজীপুরে ইউপি নির্বাচনের সময় একটি বিশেষ দলের পক্ষে প্রকাশ্যে অবস্থান নেয়ায় তাকে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক একবার প্রত্যাহার করা হয়েছিল। তাছাড়া গাজীপুর ও খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনী এলাকায় কর্মরত মোহাম্মদ হারুন অর রশিদের মতো সিভিল প্রশাসন ও পুলিশের চিহ্নিত দলবাজ ও বিতর্কিত কর্মকর্তাদের বদলীপূর্বক নিরপেক্ষ পেশারদার কর্মকর্তা পদায়ন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে’।

তিনি আরও বলেন, ‘বৈঠকে বিএপির পক্ষ থেকে এসব দাবি তুলে ধরা হয়েছে। দাবিগুলো নির্বাচন কমিশন ভেবে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।’

ড. মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে অবশ্যই মুক্তি দিতে হবে। তাকে মুক্তি না দিলে সবার জন্য লেবেল প্লেয়িং ফ্লিড তৈরি হবে না। এছাড়া সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ইভিএম, বিভিএমসহ সব ধরনের মেশিন ব্যবহার না করারো দাবি জানানো হয়েছে’।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুর এবং খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের পাশাপাশি, বিএনপির নেতাকর্মীদের মুক্তি ও দলীয় কর্মসূচি পালন প্রভৃতি বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠকে আলোচনা হয়।

(ওএস/এসপি/এপ্রিল ১৭, ২০১৮)