জে জাহেদ, চট্টগ্রাম : কর্ণফুলী উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বানাজা বেগম নিশি'র বিরুদ্ধে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। যার জিডি নং ১১৬৮ তারিখ ২৯/০৩/১৮ইং।

কর্ণফুলী থানার পুলিশের এক এসআইকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে, হাত পা কেটে দিবে,চড় মেরে মুখের দাঁত ভেঙ্গে দিবে এমন হুমকি দেওয়ার অভিযোগে সংশ্লিষ্ট থানায় গত ২৯শে মার্চ শনিবার রাত ৮:৫৫ মিনিটে ।

সাধারণ ডায়েরিটি করেন। জিডির বাদি একই থানায় কর্মরত এসআই মোঃ বেলাল হোসাইন।

সাধারণ ডায়েরি ও কর্ণফুলী থানা সূত্রে জানা গেছে, গত ২৭শে র্মাচ বিকাল ৫টা ১৫ মিনিটের দিকে পুলিশ খবর পায়, উপজেলার চরপাাথরঘাটা ৩নং ওর্য়াডের পশ্চিম চরপাাথরঘাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে সংরক্ষিত মহিলা আসনে নির্বাচন উপলক্ষে প্রার্থীদের মিছিল ও জনসভা চলছিল।

এতে মহিলা সদস্য প্রার্থী আয়েশা আক্তার আশা (প্রতীক মাইক) এবং ইশরাত আমিন মীম ( প্রতীক বই) সমর্থনের লোকজন জমায়েত ছিলেন বলে জানা যায়।

এমন খবওে ওই দিন ৫টা ৩০মিনিটে এসআই বেলাল ও সঙ্গীয় ফোর্স দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে অতিরিক্ত মাইক ও মিছিল করতে পারবেনা বলে নিষেধ করলে, সেখানে থাকা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বানাজা বেগমের সঙ্গে তাঁর কথা-কাটাকাটি হয়। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও তার স্বামী মামুন সহ কয়েকজন পুলিশের সাথে তর্কাতর্কি শুরু কওে দেন। একপর্যায়ে তিনি এসআই বেলাল হোসাইনকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে হাত পা কেটে দিবে,চড় মেরে মুখের দাঁত ভেঙ্গে দিবে মর্মে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন।

এতে এসআই বেলাল হোসাইন বলেন, ‘ সেদিনের উপ-নির্বাচনে নিষেধ ভেঙ্গে মিছিল করতে বাধা দিলে প্রভাব বিস্তার করতে চেয়েছিলেন। এ কারণে নির্বাচনে দাড়ানো এক প্রার্থীর পক্ষ নিয়ে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান উত্তেজিত হয়ে আমাকে গালাগালি করেন। হাত পা কেটে দিবে,চড় মারবে বলে হুমকি দেন। পরে আমি ঊর্ধ্বতন অফিসারকে জানিয়ে নিরাপত্তার কারণে জিডি করেছি।’

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বানাজা বেগম নিশি বলেন, ‘টাকা খেয়ে গনমিছিল না ভাঙ্গায় আমি ওদিকে হেটে যাবার সময় এসআই বেলালকে ৪/৫বার ডেকেছি কিন্তু সে আসেনি। তাই আমি গরম হয়েছিলাম।’

কর্ণফুলী থানার (ওসি তদন্ত) ইমাম হাসান বলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে একটি জিডি হয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। তাঁদের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

(জেজে/এসপি/এপ্রিল ১৭, ২০১৮)