সঞ্জিব দাস, গলাচিপা (পটুয়খালী) : দিন যত ঘনিয়ে আসছে, ততই কৃষকের দুশ্চিন্তা বাড়ছে। চলতি রবি মৌসুমের বিভিন্ন প্রজাতির ডাল, বাদাম, ভুট্টা, সূর্যমুখী ফুল ও মরিচ চাষাবাদের পরে এবার ভালো ফলন দেখা যায় কৃষি আবাদী জমিতে।

সরেজমিনে পটুয়াখালী জেলার গলাচিপার পানপট্টি, রতনদী তালতলী, ডাকুয়া, চিকনিকান্দী, গলাচিপা সদর ইউনিয়ন ও রাংগাবালী উপজেলার মৌডুবী, বড়বাইশদিয়া, চালিতাবুনিয়া, রাংগাবালী সদর ইউনিয়ন, চরমোন্তাজ ইউনিয়ন সহ এবার লক্ষ্য মাত্রার চেয়েও বেশি রবি শষ্যের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনার আশা করছেন স্থানীয় প্রান্তিক কৃষকগোষ্ঠী এবং উপজেলার সরকারি কৃষিবিদরা।

পানপট্টি ইউনিয়নের গ্রামর্দ্দন গ্রামের কৃষক আবদুস সোবাহান গাজী, মো. আব্দুর রহমান প্যাদা, আবু জাফর হাওলাদার, মো. ইউনুচ সহ অনেকেই বলেন, এ বছর আমরা এক একজন ১ থেকে ২ কানি জমিতে মুগডাল, বাদাম ও সূর্যমুখী ফুল চাষ করেছি, আল্লাহ’র ইচ্ছায় জমিতে খুব ভালো ফলন ধরেছে। তবে বর্তমানে বৈশাখী বাতাসে অতিরিক্ত বৃষ্টি হলে আমাদের ক্ষতির সীমা থাকবেনা।

গলাচিপা ও রাংগাবালী উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১৫ হাজার হেক্টর জমিতে নানা প্রশিক্ষণের মাধমে কৃষককে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। তা ছাড়া এ বছর বৈরী আবহাওয়ার প্রভাব না পড়লে লক্ষ্য মাত্রার প্রায় ৫০ হাজার মেট্রিকটন মুগডাল ও বাদাম কৃষক ঘরে তুলতে পারবে বলে ধারনা করা হচ্ছে।

আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, আগামী এক সাপ্তাহের মধ্যে কালবৈশাখী ঝর ও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে প্রাকৃতিক দূর্যোগের প্রভাব না পড়লে কৃষক তার পরিশ্রমের অধিক মূল্য ঘরে তুলতে পারবেন বলে ধারনা করা হচ্ছে।

(এসডি/এসপি/এপ্রিল ১৮, ২০১৮)