রায়পুুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার মাঝে আছে বেশ কয়েকটি চর। যথাযথ উদ্যোগ নিলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যময় এসব চর হতে পারে নদীকেন্দ্রিক পর্যটনের অন্যতম আকর্ষণ। রায়পুর শহর থেকে সড়ক পথে উপজেলা চেয়ারম্যান মাষ্টার আলতাফ হোসেন হাওলাদার এর মাছঘাট এসে ট্রলার কিংবা স্পিড বোটে কয়েক মিনিটের পথ। চরে বসে উপভোগ করা যায় সূর্যোদয় আর সূর্যাস্তের অপরূপ দৃশ্য। 

দেখা যায় মেঘনার ঐতিহ্যবাহী রূপালী ইলিশ কিংবা অন্য মাছ ধরার মনোরম দৃশ্য। যার জন্য দিন দিন আকৃষ্ট হচ্ছেন পর্যটকরা। তবে এসব চরে নিরাপত্তাসহ কোন সুয়োগ সুবিধা না থাকায় পর্যটকরা প্রায়ই পোহাচ্ছেন নানা বিড়ম্বনা। যথাযথ উদ্যোগ ও পরিকল্পনার অভাবে এ উপকূলের সম্ভাবনাময় পর্যটনের বিকাশ ঘটছে না।

প্রয়োজনীয় অবকাঠামোসহ সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করে এই চরগুলোকে পর্যটন এলাকা হিসেবে গড়ে তোলার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তাদের দাবি এসব চরকে যদি পর্যটন এলাকা হিসেবে গড়ে তোলা হয় তাহলে বদলে যাবে এ অঞ্চলের মানুষের ভাগ্য।

পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটলে তৈরী হবে নতুন কর্মসংস্থান। অর্থনৈতিক উন্নয়নে ও এগিয়ে যাবে এ অঞ্চল, এমনটাই মনে করেন সচেতন মহল। সরকার যদি এ চরগুলো পর্যটন স্পট করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন তাহলে এ এলাকায় প্রচুর মানুষের সমাগম ঘটবে। এবং দেশের অর্থনীতিও লাভবান হবে।

অপরূপ সৌন্দর্য্যমন্ডিত এসব চরকে পর্যটন এলাকা হিসেবে গড়ে তোলা হবে এমনটাই আশা লক্ষ্মীপুরবাসীর। ইতিমধ্যে উপজেলা চেয়ারম্যান মহোদয়ের উদ্যোগে উন্নয়নের কাজ চলছে। নদীমাতৃক দেশ বাংলাদেশ।

উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্তসহ সকল ভ্রমনপ্রিয় মানুষ, যান্ত্রিকতা দূরে ফেলে দিতে পারে স্বস্তিকর পরিবেশ। নদীর কূলে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের মাধ্যমে উন্নত ন্যায্যমূল্যের খাবারের দোকান, স্যানিটেশন, কটেজ, রিসোর্টসহ শিল্পপতিদের বিনিয়োগ করার সুযোগ রয়েছে।

উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের সাথে অবস্থিত উপজেলা চেয়ারম্যান মাষ্টার আলতাফ হোসেনের মাছঘাট নদীর সাথের প্রাকৃতিক দৃশ্য থেকে মুগ্ধ হন দর্শনার্থীরা। প্রত্যহ বিকালে পর্যটক পদচারণায় মুখর হয়ে উঠে মেঘনা পাড়। এছাড়া স্থানীয় ও তাদের আত্মীয় স্বজন ও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মেঘনা নদীর পাড়ে ঘুরে আনন্দ উপভোগ করেন।

ঘুরতে আসা পর্যটক হাওলাদার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা শারমিন আখতার বলেন, রায়পুর উপজেলা চেয়ারম্যান মাছঘাট সংলগ্ন মেঘনাবীচে এসে সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হয়েছি। যারা আসেননি, তারা নির্মল বাতাস, পরিবেশ উপভোগ করতে পারেন।

পর্যটকদের প্রত্যাশা করেন, ভবিষ্যতে বসার টুলের ব্যবস্থা সহ ওয়াচ টাওয়ার প্রতিস্থাপন সহ অবকাঠামো ব্যবস্থা উন্নিতকরণ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে একদিকে দেশের রাজস্ব বাড়বে অন্য দিকে নির্মল বিনোদনে বিমোগিত থাকবে আনন্দ প্রিয় মানুষ।

(পিকেআর/এসপি/এপ্রিল ১৮, ২০১৮)