সোহেল রানা, শেরপুর : তথ্য প্রযুক্তির দাপটে তথা কালের বিবর্তনে বিশ্ব থেকে হারিয়ে যাচ্ছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাস-ঐতিহ্য। তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না এই বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও। এই সোনার বাংলাদেশ থেকে হারিয়ে যেতে বসা অনেক কিছুর মধ্যে ঘোড়া, গরু ও মহিষের গাড়ি অন্যতম। কোন একসময় ছিল যখন নববধূকে বহন করা থেকে শুরু করে বিভিন্ন পণরহনে ওইসব গাড়িই ছিল অন্যতম। কিন্তু আজ তা বিলুপ্তির পথে। তবে দেশের ঐতিহ্য বহনকারী বিশেষ কিছু দিনে হারিয়ে যাওয়া এবং হারিয়ে যেতে বসা অনেক পণ্য, পরিবহণ ও ইতিহাস-ঐতিহ্য উপস্থাপন করা হয়, যা বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য দেশের ঐতিহ্য সম্পর্কে জানার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে আসছে।

সারা দেশের মতো বরাবরের ন্যায় এবারও শেরপুর জেলার নকলা উপজেলায় পহেলা বৈশাখে দেশের অনেক ইতিহাস-ঐতিহ্য বিভিন্নভাবে উপস্থাপনের মাধ্যমে তা বর্তমান প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে তথা বাংলার ঐতিহ্য রক্ষায় এবং দেশ ও জাতির মঙ্গলার্থে সরকারের এক নির্দেশনা মোতাবেক দেশব্যাপী মঙ্গল শোভাযাত্রা করা হয়।

নকলার ওই শোভা যাত্রায় ঘোড়া, গরু ও মহিষের গাড়ি বর্তমান প্রজন্মের বিশেষকরে ছোট ছেলে-মেয়েদের নজর কাড়ে। কোন কোন ছেলে-মেয়ের আবদার রক্ষায় অভিভাকগন তাদের সন্তানদের ওই ঘোড়া, গরু ও মহিষের গাড়িতে উঠাতে বাধ্য হন। শুধু ঐতিহ্য রক্ষার জন্য নহে, পরিবেশ রক্ষাসহ দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচতে গরু, ঘোড়া ও মহিষের গাড়ির ব্যবহার বৃদ্ধি করা জরুরি বলে মনে করেন সুশীল সমাজ ও পরিবেশ বিজ্ঞানীরা।

জ্বালানি বিহীন যানবাহনের ব্যবহার বাড়াতে পাড়লে টাকা অপচয় রোধসহ সৃষ্টি হবে নিরাপদ বসবাস উপযোগি পরিবেশ। কমবে দুর্ঘটনা, বাড়বে মানব সম্পদের পরিমাণ; এমটাই মনে করছেন সচেতন মহল। তাদের দাবী সময়ের চেয়ে জীবনের মূল্য অনেক বেশি।

তাই গ্রামের রাস্তা গুলোতে যন্ত্রতন্ত্র ইজিবাইক, মোটরসাইকেল, অটোরিক্সা, সিএনজি চালিত ছোট গাড়ি তথা ক্ষতিকর ছোট যানবাহন বন্ধ করে গরু, ঘোড়া ও মহিষের গাড়ির প্রচলন করা হউক।

(এসআর/এসপি/এপ্রিল ১৮, ২০১৮)