সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : আর মাত্র সপ্তাহ দুয়েক শেষ হবে অপেক্ষার পালা। শুরু হবে বোরো ধান মাড়াই মওসুম। সবুজ বর্ণ ফিকে হয়ে সোনালী বর্ণ ধারন করা সিরাজগঞ্জ রায়গঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ব্লাস্ট নামক রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যে প্রায় ২৫ বিঘা জমির ধান ক্ষেত সাদা হয়ে গেছে। এতে সংশ্লিষ্ট কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক হতাশা বিরাজ করছে। 

এ রোগ প্রতিরোধে সোমবার থেকে জেলা উপজেলা কৃষি বিভাগের সকল কর্মকর্তা কর্মচারীর ছুটি বাতিল ঘোষণা করেছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আরশেদ আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এ ব্যাপারে রায়গঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাজমুল হক মন্ডল বলেন,রোপনকৃত ধানের ফলন ভালো হয়েছে। কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে। আর কিছু দিন পর ধান কাটা ও মাড়াই শুরু হবে। কিন্তু গত কয়েক দিন ধরে উপজেলার ৯ টি ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে কৃষকদের ধান ক্ষেতে এ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে।

সবচেয়ে এ রোগ বেশি দেখা দিয়েছে ব্রম্মগাছা, পাঙ্গাসী, ধানগড়া ও চান্দাইকোনা ইউনিয়ন গুলোতে। গত ৩ দিনে এ রোগের আক্রমনে প্রায় ৪ হাজার হেক্টর জমির বোরো ধান ক্ষেত বিনষ্ট হয়েছে।

এ রোগের সম্পর্কে তিনি আরো বলেন, কৃষকরা এ বোরো ধানের চাষাবাদে যথা নিয়মে সার প্রয়োগ না করায় ও দিনে গরম রাতে ঠান্ডা জনিত কারণে এই ব্লাস্ট নামক রোগ দেখা দিয়েছে। এ রোগটি ধানের শীষের গোড়ায় আক্রমন করায় শীষসহ ধান গাছ সাদা হয়ে যায়।

এদিকে এ সরজমিনে বৃহস্পতিবার (১৯ এপ্রিল) দেখা যায়, রায়গঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে
বোরো ক্ষেতে এ রোগের আক্রান্ত বিস্তার লাভ করছে।

এসময় চাঁদপুর, কয়ড়া, খামারগাঁতী, দৈবুজ্ঞগাতী গ্রামের আদর্শ কৃষক রহিচ উদ্দিন মাস্টার, পলান সেখ, আকবার আলী, গুঠু মিয়া, আব্দুর রাজ্জাক, আনসার আলী ও আমির হোসেনসহ অনেক কৃষকই আক্ষেপ করে বলেন কষ্ট করে ধানের আবাদ করেছি। কিন্তু স্যার অজানা রোগে আমাদের সর্বনাশ হচ্ছে, বাচান
স্যার।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাজমুল হক মন্ডল এ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ধান ক্ষেতে টনেডো, ফিলীয়া, লাঠিভো ও দিফা নামক ঔষধ প্রয়োগ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কৃষকদের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা যায়।

(এমএএম/এসপি/এপ্রিল ১৯, ২০১৮)