নওগাঁ প্রতিনিধি : চাকরিতে কোটা সংস্কার নিয়ে ছাত্রদের আন্দোলনে মুক্তিযোদ্ধাদের কোটাকে ইঙ্গিত করে অশালীন শ্লোগান দেয়ার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার দুপুরে নওগাঁয় মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম জেলা প্রশসাকের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেছে। 

জেলা প্রশাসক মোঃ মিজানুর রহমান এই স্মারকলিপি গ্রহন করেন। এ সময় বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ জেলা ইউনিট কমান্ডের সাবেক কমান্ডার হারুন-অল-রশিদ, জেলার সাবেক ডেপুটি কমান্ডার মোঃ আফজাল হোসেন, সদর উপজেলা ইউনিটের সাবেক কমান্ডার গোলাম সামদানী এবং আবুল কালাম আজাদসহ অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধাগন উপস্থিত ছিলেন।

স্মারকলিপিতে তাঁরা উল্লেখ করেছেন, স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য চাকুিরতে কোটাপ্রথা চালু করেছিলেন। মুক্তিযোদ্ধারা এই প্রথাকে অর্থমুল্যে বা সুবিধা মুল্যে বিবেচনা করেনি। এটিকে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি জাতির সন্মান হিসেবে বিবেচনা করেছেন।

বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য একটি সন্মানজনক পরিমান সন্মানী ভাতা, উৎসব ভাতা, ঋণসুবিধা, আবাসনসহ বিভিন্ন সুবিধা এবং মৃত্যুর পর গার্ড অব অনার প্রদান করে আরও সন্মানীত করেছেন বলে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

তাঁরা কোটা নিয়ে আন্দোলনের সময় ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের ভিসি’র বাসভবনে হামলা ও ভাংচুরের নিন্দা জানিয়েছেন। এসব সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনার দাবী জানান।

ওই স্মারকলিপিতে কোটা সংস্কারের নামে হত্যার গুজব ছড়িয়ে উস্কানী দিয়ে দেশে অরাজকতা, নাশকতা, নৈরাজ্য ও সন্ত্রাস সৃষ্টিকারীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমুলক ব্যবস্থা গ্রহণ, জামায়াত-শিবির, যুদ্ধাপরাধী ও স্বাধীনতা বিরোধী ব্যক্তি ও তাদের দলের সন্তানদের সরকারি চাকরিতে নিয়োগ না দেয়া, জামায়াত শিবির কেউ চাকরিতে থাকলে তাদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা এবং যুদ্ধাপরাধীদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি রাষ্ট্রের অনুকুলে বাজেয়াপ্ত করাসহ ৬ দফা সম্বলিত দাবিনামা পেশ করেছেন। জেলার অন্য ১০ উপজেলাতেও মুক্তিযোদ্ধারা অনুরূপ কর্মসূচি পালন করেন।

(বিএম/এসপি/এপ্রিল ১৯, ২০১৮)