সম্প্রতি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে চট্রগ্রাম ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনির একটি ভিডিও। ভাইরাল হওয়া ভিডিও সম্পর্কে গণমাধ্যমে একটি বিব্রিতি পাঠিয়েছেন নুরুল আজিম রনি।

বিবৃতিটি উত্তরাধিকার ৭১ নিউজের পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো :

আমি নূরুল আজিম রনি এবং মো: রাশেদ মিয়া দীর্ঘ পরিচয়ের সূত্র ধরে বিগত দেড় বছরের অধিক সময় যাবত জিইসি মোড়ের Mch কোচিং সেন্টার ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি কোচিং uniaid যৌথ অংশীদারিত্বে পরিচালনা করে আসছি। উক্ত প্রতিষ্ঠানের আর্থিক লেনদেন রাশেদ মিয়া নিজে দায়িত্ব পালন করতো। বিভিন্ন সময়ে আর্থিক লেনদেনের গড়মিল দেখতে পেলে আমি বন্ধুত্বের খাতিরে এড়িয়ে যেতাম। প্রতিমধ্যে সিএমপির সাবেক ওসি আজিজ আহমেদের সাথে আর্থিক লেনদেন নিয়ে তার বিরোধ হলে আমার কাছ থেকে দুই চেকের মাধ্যমে ৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা লোন হিসাবে গ্রহন করেছিলো রাসেদ খান। দীর্ঘ এক বছর এই অর্থ পরিশোধ না করলেও আমি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কারণে তার সাথে এসব নিয়ে বিরোধে জড়ায়নি।

প্রতিমধ্যে বিগত ১৬ ফেব্রুআরি কোচিং এর অফিস রুমের কম্পিউটারে কাজ করার জন্য প্রবেশ করতে গিয়ে দেখতে পাই জনৈক এক ব্যক্তি নিচ তলার একটা অংশে স্কুলের শিক্ষার্থীদের কোচিং ক্লাস নিচ্ছেন। এসএসসি পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকার কথা থাকলেও তিনি কেন ক্লাস নিচ্ছেন তার জবাব চাইতে রাশেদকে ফোন করি। রাশেদ পরদিন ১৭ ফেব্রুয়ারী কোচিং সেন্টারে এসে আমাকে জানায় নিচ তলার একটা ফ্লাট সেঙ্গুইন প্লাসের এক শিক্ষককে ভাড়ায় দিয়েছেন। অংশীদারিত্বের প্রতিষ্ঠানে আমার অজ্ঞাতে অন্য ব্যাক্তির কাছে ভাড়া দেওয়ার কারণ জানতে চেয়ে রাশেদের সাথে আমার ঝগড়া বিবাদ হয়। বিবাদের এক পর্যায়ে দুজনেই খুব উত্তেজিত ছিলাম এবং অপ্রীতিকর কিছু ঘটনা ঘটে। যেহেতু দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বসুলভ সম্পর্কের মধ্যে দিয়ে আমরা প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করছিলাম সেহেতু বিষয়টি ঐদিন রাতেই নিজেরা মীমাংসা করে ফেলেছিলাম। বিগত দুই মাস এ নিয়ে কোন অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ করা হয়নি।

বিগত ১০ তারিখ আমার কাছ থেকে লোন নেয়া সাড়ে নয় লাখ টাকা ফেরত দেওয়ার কথা ছিলো রাশেদের। ১৩ তারিখ রাতে পাওনা টাকার ৩৫ হাজার টাকা নিয়ে সে আমার কাছে উপস্থিত হয়েছিলো। বাকী টাকা ফেরতের কথা বললে সে জানায় সে পালিয়ে যাবেনা পরদিন বাকী টাকা ফেরত দিয়ে দেবে। অথচ এ ক’দিন সে মোবাইল বন্ধ রেখে বৃহস্পতিবার চকবাজার এলাকার এক কথিত যুবলীগ নেতা নুর মোস্তফা টিনুকে সাথে নিয়ে নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জননেতা আ জ ম নাছির উদ্দিনের সাথে দেখা করেন। পরে সেখান থেকে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল্লাহ আল মামুন ও চকবাজারের কথিত যুবলীগ নেতা নূর মোস্তফা টিনুকে সাথে নিয়ে পাঁচলাইশ মডেল থানায় এসে একটি অভিযোগ করেন। বিগত দুই মাস আগের একটি ভিডিও (১৭ ফেব্রুয়ারী) এসময় গণমাধ্যমের কাছে সরবরাহ করে বিভ্রান্তিকর একটি পরিস্থিতি তৈরী করা হয়েছে।

আমি স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, অংশীদারিত্বের প্রতিষ্ঠানে আর্থিক লেনদেন নিয়ে নিজেদের মধ্যে অপ্রীতিকর ঘটনা অস্বাভাবিক কিছু নয়। নিজেদের প্রতিষ্ঠানে ঘটে যাওয়া নিজেদের মধ্যে অপ্রীতিকর ঘটনাকে পুজি করে এক শ্রেণীর রাজনীতিবীদ আমাকে উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে হেয় প্রতিপন্ন করছে। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা এ প্রতিবাদ জানাই এবং এ সংক্রান্তে গণমাধ্যমকে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ করছি।