মাগুরা প্রতিনিধি : ‘শেখ হাসিনার অবদান গৃহহীনের বাসস্থান’ এই প্রতিপাদ্যের ওপর ভিত্তি করে মাগুরার শালিখা উপজেলার পোড়াগাছি গ্রামে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে ‘গুচ্ছ গ্রাম প্রকল্পের কাজ। শুধু তাই নয় সুফল ভোগী পরিবার গুলোর জন্য স্বাস্থ্য সম্মত স্যানিটেশান, উন্নত চুলা, সুপেয় পানির জন্য নল কুপের কাজও দ্রুত এগিয়ে চলছে। ফলে এ আবাসন কেন্দ্রটি উপজেলার ভূমি ও গৃহহীন ২০টি পরিবারের মুখে হাসি ফোটাবে। 

স্থানীয় বাসিন্দা ইউপি সদস্য আঃ রাকিব বিশ্বাস, সোহাগ মোল্যা, বকুল মন্ডল সহ এলাকার একাধিক ব্যক্তিরা জানান, এক একর দশ শতক জমির উপর নবর্নিমিত পোড়াগাছির এ গুচ্ছ গ্রাম প্রকল্প। যা পূর্বে অবৈধ দখলদারদের দখলে ছিলো। কিন্তু, জেলা প্রশাসনের র্নিদেশে উপজেলা প্রশাসন ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তি বর্গের সমন্ময়ে এই খাস জমি দখল মুক্ত করে গড়ে তোলেন এই গুচ্ছ গ্রাম।

এর পূর্বে শালিখা থানার পিছনে গুচ্ছ গ্রাম প্রকল্পের স্থান নির্ধারন হলেও মামলা সংক্রান্ত জটিলতার কারনে তা বন্ধ হয়ে যায়। পরে ভ’মি মন্ত্রনালয়ের নির্দেশে সেখান থেকে পোড়াগাছীতে স্থানান্তরিত করেন। এর ফলে উপজেলার ভ’মিহীন ও গৃহহীন পরিবার গুলো খুবই উপকৃত হবে। এ কারণে আমরা খুবই আনন্দিত এবং প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আমরা আমাদের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানায়। এলাকাবাসী আরও জানান যারা গৃহহীন ভূমিহীন ভাসমান জীবন যাপন করতো ,যাদের স্থায়ী ঠিকানা ছিলোনা তারা স্থায়ী আবাসন পাওয়ায় আমরা খুবই খুশি।

এলাকাঘুরে দেখা গেছে ইতিমধ্যে সেখানে বসবাসের উপযোগী খুব সুন্দর ২০টি ঘর ও স্বাস্থ্য সম্মত ২০টি ল্যাট্রিন তৈরী হয়েছে। যা পূর্বে বেশ কিছু গর্ত ছিলো। বর্তমানে তা মাটি দিয়ে ভরাট করা হয়েছে। অত্র এলাকায় প্রবেশের কোন রাস্তা ছিলোনা । তৈরী হয়েছে রাস্তা। ফলে অত্র আবাসনে ২০টি পরিবার সুফল ভোগী হতে চলেছে।

গুচ্ছ গ্রাম প্রকল্প কমিটির সুত্রে জানা গেছে, এ গুচ্ছ গ্রাম প্রকল্পটি প্রথমে থানার পিছনে নির্ধারন হলেও মামলা সংক্রান্ত জটিলতার কারনে তা বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে ভ’মি মন্ত্রনালয়ের র্নিদেশে পোড়াগাছীতে স্থানান্তর করা হয়। যা ছিলো একটা অবহেলিত জনপদ। ছিলো খানা গর্ত। বর্তমানে তা মাটি ভরাট করে গড়ে তোলা হয়েছে এ আবাসন কেন্দ্রটি। ইতিমধ্যে তৈরী হয়েছে ২০টি ঘর ও প্রত্যেক পরিবারের জন্য একটি করে স্বাস্থ্য সম্মত ল্যাট্রিন। সুপেয় পানির জন্য নল কুপের ব্যবস্থ্যা করা হচ্ছে। যার কাজ অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই শুরু হবে।

এখানে ৩৬. ৯৬২ মেঃ টন চাল উক্ত মাটির কাজে বরাদ্ধ থাকলেও প্রায় ২৭ মেঃ টন চালে মাটি ভরাটের কাজ সম্পন্ন হওয়ায় অবশিষ্ট বরাদ্ধ ফেরত দেওয়া হয়েছে। এছাড়া গুচ্ছ গ্রামে বসবাস কারীদের জন্য ফলজ,বনজ ও ওষধী গাছের সমাহার থাকছে বলে কমিটির সদস্যগন জানান।

আড়পাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আরজ আলী বিশ^াস জানান- এমন একটি আবাসন কেন্দ্র বা গুচ্ছ গ্রাম গড়ে ওঠায় আমি অত্যান্ত খুশি। যা গৃহহীন পাচ্ছে মাথা গোজার ঠাঁই। এজন্য আমি প্রধানমন্্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ।

গুচ্ছ গ্রাম প্রকল্প কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা সহকারী কমিশনার ভ’মি শেখ শামছুল আরেফিন জানান- গুচ্ছ গ্রামটিতে ২০টি ভুমি হীন পরিবার খুঁজে পাবে আশ্রয় স্থল। তাদের জন্য থাকছে সুপেয় পানি, স্বাস্থ্য সম্মত ল্যাট্রিনসহ সুন্দর পরিবেশের ব্যবস্থা। ইতিমধ্যেই ২০টি পরিবার নির্বাচন করা হয়েছে। আশা করি অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই আনুষ্ঠানিক ভাবে হস্তান্তর করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমী মজুমদার জানান- মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর ১০টি ব্রান্ডিংয়ের মধ্যে গৃহ হীনের বাসস্থান অন্যতম একটি। সেই লক্ষ্যে আমরা পোড়া গাছীর এ গুচ্ছ গ্রামের কাজে হাত দিয়েছি। আশাকরি এখানে ছিন্নমূল বা ভাসমান ২০টি পরিবার পাবে মাথা গুজার ঠাঁই। শুধু তাই নয় এ গুচ্ছ গ্রামকে আমরা একটি আর্দশ গুচ্ছ গ্রাম হিসেবে গড়ে তুলবো।

(ডিসি/এসপি/এপ্রিল ২১, ২০১৮)