সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : মৎস্য ও শস্য ভান্ডার হিসেবে খ্যাত সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ইরি-বোরো
মৌসুমের অপেক্ষায় কৃষক। সবুজ বর্ণ ফিকে হয়ে সোনালী বর্ণ ধারন করেছে। কৃষকের ধান কাটার পৃর্ব প্রস্তুতির মূহূতে শিলা বৃষ্টির তান্ডবে কৃষকের মাথায় হাত ওঠেছে।

আর মাত্র ক’দিন পরেই পুরোদমে ধান কাটা শুরু হবে। মাঠে মাঠে মন জুড়ানো ধানে ভরপুর। মাঠ ভরা ধানে কৃষকের সব কষ্ট দূর হয়ে হৃদয়ে শান্তির পরশ জোগান দিচ্ছিল। কিন্ত গত কয়েক দিন আগে ঝড় ও শিলা বৃষ্টিতে সেই শান্তির পরশ এবার বিষাদে পরিনত হয়েছে।

উপজেলার বারুহাস ইউনিয়নের বিনসাড়া, পলাশী, কুসুম্বি এবং সদর ইউানয়নের কোহিত তেতুলিয়া ও শ্রীকৃঞ্চপুর গ্রামের কৃষকের।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বিনসাড়া পশ্চিম মাঠে, কোহিত তেতুলিয়ার উত্তর মাঠে, শ্রীকৃঞ্চপুর উত্তর মাঠে এবং পলাশী ও কুসুম্বীর পূর্ব মাঠে ওই দিনের কয়েক মিনিটের তান্ডবে আদা পাকা ও সদ্য ফুলে বারানো ধান ঝরে গাছগুলো সরু হয়ে দাড়িঁয়ে আছে।

আর যে ধান ফোলার উপক্রম সেই ধান গাছগুলো ঝর ও শিলের তান্ডবে থোরা থোরা হয়ে মাটিতে পরে আছে। বিনসাড়া গ্রামের কুষক মো. আব্দুস সোবহান বলেন, আমার ২৫ বিঘা জমির পাকা ধান আর মাত্র কয়েকদিন পরেই কাটার পরিকল্পনা ছিল। ধান কাটার জন্য ইতিমধ্যে বাড়িতে শ্রমিক এসেছিল। ওই দিনের কয়েক মিনিটের ঝড় ও শিলা বৃষ্টির তান্ডবের ফলে সব শেষ হয়ে গেল।

তিনি আরো বলেন, পাকা ধান ঝড়ে পরে শুধু গাছ দাড়িয়ে আছে। এখন যে অবস্থা তাতে কাটাই সম্ভব হবে না।

যেখানে ১ বিঘা জমিতে ফলন হচ্ছে ৪ মন ধান, আর সেখানে ১ বিঘা জমি কাটাতে শ্রমিক মুজুরি দিতে হচ্ছে ৫ মন ধান। কোহিত তেতুলিয়া গ্রামের কৃষক গোলবার হোসেন বলেন, আমার ২০ বিঘা জমির পাকা ধান ওই দিনের তান্ডবে ঝরে পরেছে।

শ্রীঞ্চপুর গ্রামের কৃষক মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, আমার ২০ বিঘা জমির আদা পাকা ধান ঝরে শেষ হয়েছে। তারা অরো জানান,ধানের যে অবস্থা কাটার মুজুরি হবে না।

এ বিষয়ে তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, এবছর শুরু থেকেই ধান খুব দেখাচ্ছিল।

কিন্ত গত কয়েক দিন আগে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে উপজেলার কিছু কিছু মাঠে কৃষকের অপরনীয় ক্ষতি হয়েছে।

(এমএএম/এসপি/এপ্রিল ২১, ২০১৮)