বর্ণমালায় হেমন্তকাল

ক- কাঁশবনের মাঝ দিয়ে ওই চলছে রেলের গাড়ি
খ- খেজুর গাছে গাছি ভাইয়া বাঁধে রসের হাড়ি
গ- গাঁয়ের রাখাল গ্রামের পথে গাইছে দ্যাখ গান
ঘ- ঘরে বসে বুড়ো দাদী সুখে চাবায় পান
ঙ- শীতের ভয়ে ব্যঙগুলো সব কাঁপে থর থর
সুরে সুরে সবাই মিলে ক- বর্গ পড়।

চ- চাষি ভাইয়া কাস্তে হাতে সোনালি ধান কাটে
ছ- ছিপ ফেলেছ বুড়ো দাদু শান বাঁধানো ঘাটে
জ- জলের পোকা জলের উপর ঝড়ের বেগে ছুটে
ঝ- ঝিলের জলে হাজার হাজার শাপলা শালুক ফুটে
ঞ- ঞ-র সাথে ঙ দেখ খাচ্ছে গড়াগড়ি
সুরের সাথে গলা মিলিয়ে চ-বর্গ পড়ি।

ট- টেকো মাথা ঋষি মশায় বেতের ধামা বাঁধে
ঠ- ঠাকুর মা রান্না ঘরে ইলিশ পোলাও রাধে
ড- ডাক নিয়ে ঐ ছুটছে রানার অন্ধকারের রাতে
ঢ- ঢাকের তালে নাচে খোকা হাতটি ধরে হাতে
ণ- ণ-টা ঞ-র সাথে নাকি কথা বলে
ট বর্গ টাট্টু ঘোড়ায় টগবগিয়ে চলে।

ত- তালের শাখে তাকিয়ে দেখ বাবুই বাঁধে বাসা
থ- থালের মত পদ্ম পাতায় ব্যাঙের ছানা ঠাসা
দ- দইয়ের হাড়ি কাঁধে নিয়ে যাচ্ছে দধি মামা
ধ- ধানের চিড়া মুড়ি দিয়ে ভরাট দেখ ধামা
ন- নবান্নেরই উৎসবে আজ গ্রামে খুশির দিন
ত থ দ ধ, ন এর সাথে নাচে তাধিন ধিন

প – পশ্চিমে ওই তাকিয়ে দেখ মেঘগুলো যায় ধেয়ে
ফ – ফলার খেয়ে বেজায় খুশী গাঁয়ের ছেলেমেয়ে
ব – বাঁশ বাগানের পাশে দেখ সূর্য্য গেছে পাটে
ভ – ভরা নদীর পাড়ে দেখ নৌকা বাঁধা ঘাটে
ম – মাঝি ভাইয়া স্রেতের টানে ভাটির দেশে যায়
মনের সুখে সবাই মিলে পিঠা পুলি খায়।

য যবের ছাতু ঝোলা গুড়ে খেতে ভীষণ ভালো
র রাতের বেলা জ্বলছে দেখ হাজার জোনাক আলো
ল লাল রঙের ঐ জামা পরে রাখাল ছেলে ছোটে
ব ব ফলাটা অ এর মত আওয়াজ তোলে ঠোঁটে
শ শরত শেষে হেমন্তকাল আসে দুলে হেলে।
ষ ষাঁড়ে ষাঁড়ে করছে লড়াই দেখছে বুড়ো ছেলে

স সহিস দেখ ঘোড়ার পিঠে দুলকি চালে যায়
হ হ টা দেখ হনহনিয়ে করে নাক বরাবর ধায়
ড় ড় মত ফড়িংগুলোর উড়ছে নানা ঢংয়ে
ঢ় ঢয় শুন্য র সাজছে দেখ সবুজ গাঢ় রংয়ে

ত হঠাত করে সূর্য দেখ খেলছে রংয়ের খেলা
ং রংধনুটা সাজিয়ে তোলে সাতটি রংয়ের মেলা
ঃ বিসর্গটা দুঃখ ভুলে মেঘের ভেলায় ভাসে
ঁ চন্দ্র বিন্দু চাঁদের কোলে মিটমিটিয়ে হাসে ।