ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ভূল্লী বাজার নামক এলাকায় মানব দেহের জন্য ক্ষতিকারক এক ভেজাল জুস কারখানার সন্ধান পাওয়া গেছে। স্থানীয়দের খবরের প্রেক্ষিতে সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের একটি টিম অভিযান পরিচালনা করলে এর সত্যতা পায়।

এসময় ভেজাল কারখানার ম্যানেজার ও উৎপাদনকারির কারাদনণ্ড প্রদান করা হয়। সোমবার দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতটি সেখানে উপস্থিত হলে কারখানা পরিচালনাকারিরা কারখানায় তালা মেরে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।পরে এলাকাবাসির সহায়তায় কারখানার ম্যানেজার সুমন ইসলাম (৩২) ও জুস উৎপাদনকারি মো: রফিক (২৩)কে কৌশলে আটক করা হয়।

সুমন ইসলাম ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার কচুবাড়ি দেবোত্তরপাড়া এলাকার আলহাজ্ব মো: আ: রহিমের ছেলে ও রফিক ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার বড় বালকি এলাকার আব্দুল হাইয়ের ছেলে। তবে ভেজাল জুস কারখানার মালিক সিজারকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।

জানা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারী মাসে সদর উপজেলার ভূল্লী বাজার এলাকায় ডোমিনো স্কুলের পাশে একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে ফ্রুটি আম্রপালিড্রিংস নামে ভেজাল জুস কারখানা চালু করে সিজার নামে এক ব্যক্তি।কারখানাটি জনসমাগমমুক্ত এলাকায় হওয়ায় এতোদিন সেদিকে কেউ দৃষ্টি দেয়নি।

প্রতিষ্ঠানটিও চালিয়ে যায় তাদের রমরমা অবৈধ ব্যবসা।সম্প্রতি স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিক বিষয়টি জানতে পারে এবং তা ফেসবুকের মাধ্যমে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে।এরই প্রেক্ষিতে আজ জেলা প্রশাসন কতৃক একটি ভ্রাম্যমান আদালত সেখানে অভিযান পরিচালনা করলে ভেজাল জুস কারখানাটি জনসম্মুখে উন্মোচিত হয়।সরকার কতৃক কোন বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারায় এবং কারখানার পরিবেশ নোংরা হওয়ায় ম্যানেজারের ৬মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও উৎপাদনকারীর ৩ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করে আদালত।

এসময় আটককৃত মালামাল স্থানীয় চেয়ারম্যানের জিম্মায় রাখা হয়েছে বলে জানা যায়।

আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুন ও তরিকুল ইসলাম।এসময় জেলা স্যানেটারী ইন্সপেক্টর আশীষ কুমার সাহা, পেশকার সাইফুল ইসলাম সহ আনসার বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

(এফআইআর/এসপি/এপ্রিল ২৩, ২০১৮)