হুমায়ূন কবির জীবন, কুমিল্লা : কুমিল্লায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুইটি মামলায় জামিনের শুনানি হয়েছে। সোমবার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক বেগম জেসমিন আরা বেগম শুনানি শেষে আগামী ৭ জুন মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন। পিপি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের হায়দারপুলে একটি কভার্ডভ্যানে পেট্টোল বোমা নিক্ষেপ করে পুড়িয়ে দেওয়ার মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের শুনানি হয়।

একই আদালতে দুপুরে চৌদ্দগ্রামে বাসে পেট্রোল বোমা হামলায় আটজন হত্যার মামলায়ও খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের শুনানি হয় বলে জানান তিনি। মোস্তাফিজ বলেন, আসামিপক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের বক্তব্য শুনে আদেশের জন্য আগামী ৭ জুন দিন রাখে আদালত।

২০১৫ সালের ১লা জানুয়ারি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চৌদ্দগ্রামের হায়দারপুল এলাকায় একটি কভার্ডভ্যানে পেট্টোল বোমা নিক্ষেপ করে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। ওইদিনই চৌদ্দগ্রাম থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩২ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত পরিচয় ১১ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করে পুলিশ। এখানে খালেদা জিয়া হুকুমের আসামি।

২০১৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি চৌদ্দগ্রাম থানার এসআই সুজন চন্দ্র মজুমদার এক জনের নাম বাদ দিয়ে ৪২ জনের নামে অভিযোগপত্র দেন।

এ মামলায় জামিন আবেদন প্রসঙ্গে পিপি মোস্তাফিজুর রহমান আদালতে বলেন, ‘এই মামলায় খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার দেখানোই হয়নি। যেখানে গ্রেপ্তার দেখানো হলো না সে মামলায় কীভাবে জামিন শুনানি হয়?’

কভার্ডভ্যান পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনার সঙ্গে খালেদা জিয়ার কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে শুনানিতে খালেদার আইনজীবী এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন দাবি করেন।

মাহাবুব উদ্দিন খোকন, সানাউল্লাহ মিয়াসহ কুমিল্লার কয়েকশ আইনজীবী খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন। রাষ্টপক্ষেও মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে শতাধিক আইনজীবী অংশ নেন।

চৌদ্দগ্রামে বাসে পেট্রোল বোমা হামলার মামলায় বিস্ফোরক আইনে ও হত্যার অভিযোগে দুটি অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। দুই মামলাতেই বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আসামি করা হয়। এই মামলা দুটিতে খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

জিয়া এতিমখানা মামলায় গত ৮ ফ্রেব্রুয়ারি পাঁচ বছরের সাজা হওয়ার পর থেকে খালেদা জিয়া কারাগারে রয়েছেন।

(এইচকেজি/এসপি/এপ্রিল ২৩, ২০১৮)