স্টাফ রিপোর্টার : প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, পৃথিবীর দুইশ দেশের মধ্যে ভারত আমাদের সবচেয়ে কাছের বন্ধু। কারণ তারা মুক্তিযুদ্ধের সময় সাহায্য করেছিল। এ জন্য ভারতের প্রতি আমার কৃতজ্ঞ।

‘কিন্তু তারা সামান্য ভুলের কারণে এ বন্ধুত্ব হারাতে চায়। তাদের চিন্তা করতে হবে এ বন্ধুত্ব কেন হারাচ্ছে। আমার বিশ্বাস দুটি দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব না করে দু'দেশের জনগণের সঙ্গে বন্ধুত্ব করলে সেটা আজীবন টিকবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।’

মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘বর্তমান প্রেক্ষাপটে মানবাধিকার, আইনের শাসন ও গণতন্ত্র’ শীর্ষক আলোচনা সভার তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার পরিষদ এ সভার আয়োজন করে।

ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, দেশে এখন গণতন্ত্র নেই। বর্তমান স্বৈরশাসক সরকার গণতন্ত্রের ভান ধরেছে আর সেটা ভীমরতির প্রতীক।

তিনি বলেন, বর্তমান অবস্থা থেকে যদি গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে না পারি তাহলে মুক্তিযুদ্ধাদের কে অপমান করা হবে এবং আমরা অপমান করছি। যদি স্বৈরশাসকের ধারা অব্যাহত থাকে তাহলে যারা যুদ্ধ করেছিলেন তারা কি প্রশ্ন করবে না ‘এ জন্য কি আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম?’

মঈন খান বলেন, আমরা বিশ্বেকে বলে বেড়াচ্ছি বাংলাদেশে এখন বিশাল গণতন্ত্র রয়েছে। এমন বিশাল গণতন্ত্র যে সংসদে ৩০০ আসনের মধ্যে ১৫৪ আসন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয় এবং বাকি ১৪৬ আসনে ৫ শতাংশ ভোটও পড়ে না।

সরকারের পায়ের নীচে মাটি নেই উল্লেখ করে সাবেক এ মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার এত বুদ্ধিমান যে তারা নিজেদেরকে সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী মনে করে কিন্তু তারা জানে না তাদের পায়ের তলায় মাটি নেই। যারা এত অন্যায় অত্যাচার করে তাদের পায়ের নীচে মাটি থাকতে পারেনা।

আয়োজক সংগঠনের চেয়ারম্যান কৃষিবিদ অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে মহাসচিব অধ্যাপক আ স ম মোস্তফা কামালের সঞ্চালনায় সভায় অন্যদের মধ্যে নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমতুল্লাহ, ঢাকা মহানগর সভাপতি ফরিদ উদ্দিন, কৃষিবিদ সুমন, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ বক্তৃতা করেন।

(ওএস/এসপি/এপ্রিল ২৪, ২০১৮)