হবিগঞ্জ প্রতিনিধি : প্রেমের টানে নারায়ণগঞ্জ থেকে হবিগঞ্জের বাহুবলের জয়পুরে এসে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে এক যুবতী। শুধু তাই নয়, লম্পটরা তাকে সিগারেটের আগুন দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছ্যাকা দিয়েছে। অসুস্থ অবস্থায় মেয়েটিকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

এ ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৪ যুবককে আটক করেছে। সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই যুবতী জানায়, সে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানার দিঘিবরাবর গ্রামের মৃত মনোয়ার হোসেনের কন্যা। তার বিয়ের ৬ মাসের মাথায় স্বামী মারা যায়। পিতার অভাব অনটনের সংসারে সে গার্মেন্টেসে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। একটি অনুষ্ঠানে বাহুবল উপজেলার পূর্ব জয়পুর গ্রামের তৈয়ব খার কন্যা লিপি আক্তারের সাথে তার পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে তাদের মাঝে বন্ধুত্ব গড়ে উঠে। লিপি তার ভাই বাহুবল উপজেলা পরিষদের পিয়ন আলমের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়। পরিচয় থেকে তাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। একজন আরেকজনকে কাছে পেতে মরিয়া হয়ে উঠে।

সোমবার দুপুরে আলম ওই যুবতীকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে তার বাড়িতে নিয়ে আসে। মেয়েটি তাকে বিয়ের কথা বললে আলম জানায় রাতে তাদের বিয়ে হবে। রাতে একটি নির্জন বাড়িতে তাকে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে রাতভর আলমসহ বেশ কয়েকজন যুবক তাকে গণধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে সিগারেট দিয়ে ছ্যাকা দেয়। মঙ্গলবার সকালে তাকে মুর্মুষূ অবস্থায় রাস্তায় ফেলে দিয়ে লম্পটরা পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।

একটি সূত্র জানায়, ওই যুবতী নিখোঁজ হয়েছে মর্মে তার পরিবারের পক্ষ থেকে ফতুল্লা থানায় জিডি করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে বাহুবল থানার ওসি মাসুক আলী জানান, ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ৪ যুবককে আটক করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম প্রকাশ করা হচ্ছে না। বাকীদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।

(এমইউএ/এসপি/এপ্রিল ২৫, ২০১৮)