গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি : গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে লাইসেন্স বিহীন একটি ইট ভাটার বিষাক্ত কালো ধোয়ায় শতাধিক বিঘা জমির ধান চিটা হওয়ায় মালিককে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা এবং ক্ষতিগ্রস্ত ১০০ বিঘা ধানের জমির মালিককে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত । গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ আব্দুর রফিউল আলম মঙ্গলবার বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এ নির্দেশ দেন। 

জানা গেছে, উপজেলা নাকাই ইউনিয়নের নাকাই কলেজ পাড়া এলাকার প্রভাবশালী সাজ্জাদ হোসেনের এম এস এন নামক লাইসেন্স বিহীন ইটভাটার চিমনী নির্গত বিষাক্ত কালো ধোয়ার বিষক্রিয়ায় ভাটার আশ পাশের সকল জমির বিভিন্ন জাতের বোরো ধান চিটা হয়ে যায়।

ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার অর্ধশতাধিক কৃষক সরেজমিনে তদন্ত পূর্বক ক্ষতিপূরণ ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।

জেলা প্রশাসকের নির্দেশে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ আব্দুর রফিউল আলমের নেতৃত্বে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ছাহেরা বানু, উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা বৃন্দ পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং স্থানীয় গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গ ও ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের উপস্থিতিতে সরেজমিনে তদন্ত করেন।

কোন রোগবালাই ছাড়াই ইটভাটার বিষাক্ত কালো ধোঁয়ায় আশপাশের শতাধিক বিঘা জমির ধান সাদা চিটা হয়ে নষ্ট হয়ে গেছে দেখতে পান। এর প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ আব্দু রাফিউল আলম ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ইট ভাটার বিষাক্ত কালো ধোঁয়ায় ক্ষতিগ্রস্থ ১'শ বিঘা জমির ধান সমস্থ চিটা হয়ে নষ্ট হয়েছে নির্ধারন করে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের ধানের বর্তমান বাজার মূল্যে ৮'শ টাকা মন দরে নির্ধারন করে প্রতি বিঘা জমির জন্য ১৫ মন ধানের দাম ক্ষতিপূরন হিসাবে আগামী ৭ দিনের মধ্যে দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন। সেই সাথে ওই ইট ভাটার লাইসেন্স না থাকায় ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।

দ্রুত ক্ষতিপূরন প্রদাণ ও ক্ষতিকারক ওই ইট ভাটা বন্ধের দাবী জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক সহ ওই এলাকা জনগণ ।


(এসআরডি/এসপি/এপ্রিল ২৫, ২০১৮)