স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের বক্তব্যে সাধারণ মানুষের মাঝে সমালোচনার ঝড় বইছে দাবি করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেছেন, সমালোচনার মুখে শাহরিয়ার আলম তার ফেসবুকে দেওয়া ডকুমেন্ট সরিয়ে নিয়ে এখন বলছেন, তার ফেসবুক হ্যাকড হয়েছে। মূলত প্রশ্নবিদ্ধ কাগজপত্র উপস্থাপন করে তিনি সবার কাছে হাসির পাত্রে পরিণত হয়েছেন। বিনাভোটের সরকারকে সব সময় জাল-জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েই চলতে হয়!

বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন রুহল কবির রিজভী।

তিনি বলেন, তারেক রহমান ব্রিটেনের আইন মোতাবেক সেখানে বসবাস করছেন। আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে নানাভাবে ষড়যন্ত্র ও তদবির করে ব্যর্থ হয়ে তার কেবিনেটের প্রতিমন্ত্রীকে দিয়ে জাতির সামনে প্রশ্নবিদ্ধ কাগজপত্র উপস্থাপন করাচ্ছেন। দেশের মানুষের সমালোচনা ও প্রত্যাখানের মুখে শাহরিয়ার আলম তার ফেসবুকে উপস্থাপিত কাগজপত্র সরিয়ে ফেলেছেন।

রুহল কবির রিজভী আরো বলেন, আমি পরিষ্কার ভাষায় আবারও বলতে চাই- তারেক রহমান বাংলাদেশের নাগরিকত্ব বর্জন করেননি। যুক্তরাজ্যের অভিবাসন আইনে শত শত দেশের নাগরিকরা যেভাবে পলিটিক্যাল অ্যাসাইলাম নিয়ে অবস্থান করেন সেভাবেই তিনি সেখানে অবস্থান করছেন। তিনি যুক্তরাজ্যের হোম অফিসে পলিটিক্যাল অ্যাসাইলামের জন্য পাসপোর্ট জমা দিয়েছেন, সারেন্ডার করেননি।

‘শেখ হাসিনা যতদিন জীবিত আছেন, ততদিন পর্যন্ত শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে ক্ষমতায় থাকবে, শেখ হাসিনা ততদিন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থাকবেন।’ আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুব উল আলম হানিফের এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে রুহুল কবির রিজভী বলেন, এই বক্তব্য স্বীকৃত স্বৈরাচারী সরকারেরই যথার্থ প্রতিধ্বনি।

খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্যরা কারাগারে গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করে এসেছেন জানিয়ে রিজভী বলেন, খালেদা জিয়ার অসুস্থতা তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। হাঁটুর ব্যথা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। চোখেও সমস্যা দেখা দিয়েছে। বার বার বলার পরও সরকার কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

(ওএস/এসপি/এপ্রিল ২৬, ২০১৮)